‘চীনা পিওনি ফুলের গ্রামে’ দুটি পরীক্ষা
বর্তমানে চীনের ছোং ছিং শহরের স্যু পাই গ্রামে চীনা গুল্মজাতীয় পিওনি ফুল পুরোদমে ফুটছে। এ ফুল নিয়ে দুটি পরীক্ষা চলছে।
প্রথমটি পরীক্ষা চালাচ্ছেন যিনি, তিনি হচ্ছেন এ গ্রামের সিপিসি’র সম্পাদক থিয়ান ছিন সি। তিনি খুব সরল যন্ত্র নিয়ে পরীক্ষা করছিলেন। এক সারিতে বসানো আছে বেশ কয়েকটি কাঁচের ফুলদানী। ফুলদানীগুলোতে রয়েছে স্বচ্ছ তরল এবং বেশ কয়েকি তাজা চীনা গুল্মজাতীয় পিওনি। ফুলদানীগুলোকে পানি, পুষ্টিকর পানি এবং মিষ্টি পানিসহ নানা মার্ক করা হয়েছে। থিয়ান ছিন সি একটু পরপরই সেগুলো দেখতে আসেন।
থিয়ান ছিন সি বলেন, গত ২০২১ সালে স্যু পাই গ্রাম ‘গ্রামীণ সামষ্টিক সংস্থা যোগ কৃষি পরিবার” এর পদ্ধতিতে চীনা গুল্মজাতীয় পিওনি শিল্প উন্নয়ন করতে শুরু করে। এখন প্রথমবারের মতো এ ফুল ফুটছে। গ্রামটিও প্রথমবারের মতো লাইভে তাজা ফুল বিক্রি করে। তাতে ফুল চাষের প্রথম ফলাফল পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, “লাইভে অনেক দর্শক আমাদের জিজ্ঞাসা করেন যে, তাজা ফুল কি পানি দিয়ে রাখতে হয়। আমাদের লাইভ কর্মীদের কোনো অভিজ্ঞতা নেই। তাই এ অপেশাগত পরীক্ষার মাধ্যমে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করছি। আমরা বিক্রির পাশাপাশি শিক্ষা গ্রহণ করছি।” থিয়ান ছিন সি’র লাইভ কক্ষে যে ফুলগুলো বিক্রি করা হয়, সেগুলো গ্রামের সামষ্টিক সংস্থা ও কৃষি পরিবার থেকে নেওয়া হয়েছে।
যেটা থিয়ান ছিন সিকে অবাক করে দেয়, সেটি হলো তাজা ফুলের জনপ্রিয়তা। দুই সপ্তাহের মধ্যে ৩ লাখের বেশি চীনা পিওনি ফুর বিক্রি করা হয়েছে। প্রতিটির দাম ৩ ইউয়ান।
জানা গেছে, স্যু পাই গ্রামে কয়েকশ বছর ধরে চীনা গুল্মজাতীয় পিওনি চাষ করা হয়ে আসছিল। তবে আগে কখনও তাজা চীনা গুল্মজাতীয় পিওনির বিক্রি হয়নি। গ্রামবাসীরা এ গাছের মূল ঔষধি উপকরণ হিসেবে বিক্রি করতেন। ৩ ও ৪ বছরে একবার এ ফসল হয়। ০.০৬ হেক্টর জমিতে আয় হয় ৭ হাজার ইউয়ান। তবে চীনা গুল্মজাতীয় পিওন এক বছর একবার ফোটে। বপন থেকে তিন বছর পর ফুল ধরতে শুরু করে। প্রতি বছরে তাজা ফুল সংগ্রহ করা যায়। ০.০৬ হেক্টর জমিতে আয় হয় ১৭ হাজার ইউয়ান।