‘চীনা পিওনি ফুলের গ্রামে’ দুটি পরীক্ষা
লাইভ স্ট্রিমের মাধ্যমে তাজা ফুল বিক্রি ছাড়া, গ্রামবাসীরদের উপার্জন বৃদ্ধির পদ্ধতি অনেক বেড়েছে। গ্রামবাসী কাও কান ছেং বলেন, তিনি চীনা গুল্মজাতীয় পিওনি বাগানে আগাছা ও ফুল কাটাসহ শ্রম দেন। প্রতি বছরে তিনি ৭ হাজার ইউয়ান উপার্জন করতে পারছেন। তাছাড়া গ্রামের পিওনি বাগান অনেক পর্যটককে আকর্ষণ করছে। গ্রামবাসীরা ডিম, মধু ও ময়দা নিয়ে বিক্রি করতে বাগানে আসেন।
থিয়ান ছিন সি বলেন, “আমি সর্বোপরি একজন স্থানীয় বিশেষজ্ঞ, এবং পিওনির দীর্ঘমেয়াদী ভবিষ্যৎ বিকাশ আমাদের গ্রামের প্রকৃত বিশেষজ্ঞদের থেকে অবিচ্ছেদ্য।”
তারপর তিনি আমাদের সাংবাদিককে নিয়ে দ্বিতীয় দলীয় পরীক্ষাকর্মীদের কাছে নিয়ে যান। পরীক্ষাকর্মী যেখানে অবস্থান করছেন, সেখানকার নাম চীনা গুল্মজাতীয় পিওনি বিজ্ঞান-প্রযুক্তি অঙ্গন। ২০২৩ সালে চীনের কৃষি পেশাদার বিজ্ঞান-প্রযুক্তি সমিটি ১৯৫টি বিজ্ঞান-প্রযুক্তি অঙ্গন স্থাপন করেছে। স্যু পাই গ্রামের এ অঙ্গন ছোং ছিং শহরের ১৬টি অঙ্গনের একটি।
অঙ্গনে পশ্চিম-দক্ষিণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জান ইয়ু ও লি হাই সিয়া দেশ থেকে চীনা গুল্মজাতীয় পিওনির চারা পর্যবেক্ষণ করছিলেন।
জান ইয়ু বলেন, ‘এ অঙ্গন স্থাপনের লক্ষ্য হলো চীনা গুল্মজাতীয় পিওনির প্রজাতি লালন এবং চারা প্রজনন পরীক্ষা করা।”
সাধারণত, তারা রিসোর্স গার্ডেনে বিভিন্ন প্রবর্তিত প্রজাতির পিওনির বৃদ্ধি পর্যবেক্ষণ করেন এবং স্থানীয় আবহাওয়া খাপখাওয়ানোর জন্য উপযুক্ত আরও প্রজাতি নির্বাচন করতে সাহায্য করেন।
লি হাই সিয়া বলেন, ‘পর্যবেক্ষণ কাজের ফাঁকে আমরা গ্রামের পরিচালিত লাইভ কক্ষে সাহায্য করতে যাই। এ সুযোগের মাধ্যমে ফুল বাজার এবং বাজারের চাহিদা সম্পর্কে আরও ভালো জানা যাবে। যা ক্লাস ও পরীক্ষাগার থেকে শেখা সম্ভব হয় না।”
থিয়ান ছিন সি বলেন, বর্তমানে বর্তমানে এখানে চারা সবই অন্য স্থান থেকে আনা হয়। পশ্চিম-দক্ষিণ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাকর্মীদের পরীক্ষা সফল হলে চারার চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে।
স্যু পাই গ্রামের দুটি পরীক্ষা উচ্চ বিদ্যালয়, কৃষি ও বাজারকে একীভূত করেছে, যা গ্রামীণ পুনরুজ্জীবনের জন্য শক্তি যুগিয়েছে।