ব্লুবেরি নিয়ে কৃষক শিল্প চেইনের কেন্দ্রে আসে
তাহলে গ্রাম ও কৃষক কীভাবে এ শিল্পের উন্নয়ন থেকে উপকৃত হতে পারে? কোম্পানির উত্পাদন ব্যয় কমানের পাশাপাশি চাষের ব্যবস্থাপনার মান উন্নয়ন করা যায় কীভাবে?
সমস্যা হতে পারে সংস্কারের চালিকাশক্তি। স্থানীয় সরকার কৃষকদের নিয়েই শিল্প উন্নয়নের উপায় খুঁজে পাচ্ছে। চাও পা জেলার সিপিসি সম্পাদক ওয়ান খুই বলেন, তারা ৬২২ নামে একটি ব্যবস্থা আবিষ্কার করে। এখানে ৬২২ মানে তাদের লাভের ভাগাভাগির অনুপাত। অর্থাৎ মোট বিক্রয়ের ৬০ শতাংশ কৃষক, গ্রাম ২০ শতাংশ এবং কোম্পানি ২০ শতাংশ পাবে। ব্লুবেরি চাষের সময় অনুযায়ী ৫ বছর একবার এ ব্যবস্থা চালু হয়। কোম্পানি ব্লুবেরি চারা, প্রযুক্তি, ব্র্যান্ড তৈরি, বিক্রয় চ্যানেল খোলার দায়িত্ব পালন করে। কৃষরা জমি, অবকাঠামো ও নিয়মিত ব্যবস্থাপনা করে। ১৪টি গ্রামের কমিটির উদ্যোগে একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এ কোম্পানি চারা কেনার ঋণ দেয়া, গ্রিণহাউস নির্মাণ, সার ও জলের ব্যবস্থা করে।
স্থানীয় বাসিন্দা সু চ্য ৬২২ ব্যবস্থার প্রথম অংগ্রহণকারী। তিনি ২০২১ সাল থেকে সাড়ে ৪ মু জমিতে ব্লুবেরি চাষ শুরু করেন এবং প্রথম বছরে তার নিট আয় ছিল ১ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান। ২০২৩ সালে তিনি ২২মু জমিতে ব্লুবেরি চাষ করেন এবং প্রথমবার ফলনের সময়ে তিনি ১০ লাখ ৮০ হাজার ইউয়ান লভ্যাংশ পেয়েছেন, এর মধ্যে নিট আয় ৬ লাখ ৪০ হাজার ইউয়ান। অনুমান অনুযাযী চলতি বছরে তার নিট আয় হতে পারবে ৬-৭ লাখ ইউয়ান। সু চ্যর সফলতা দেখে অন্য কৃষকরাও এতে অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী। ২০২১ সাল থেকে এ পর্যন্ত আরও বেশি মানুষ ৬২২ ব্যবস্থায় অংশ নেন।
ওয়াং চেং ইন জানিয়েছেন, ২০২৩ সালে মেং চি শহরের ব্লুবেরি চাষের আয়তন ১৭ হাজার মু এবং উত্পাদনের মূল্য ২০৪ কোটি ইউয়ান। এতে ৩২টি গ্রামের ২০ হাজারের বেশি কৃষকের আয় বৃদ্ধি হয়। ৬২২ ব্যবস্থার অধীনে ৬২টি ব্লুবেরি পারিবারিক খামার ৬২ লাখ ইউয়ান আয় করে এবং সারা শহরে পারিবারিক খামারের সংখা ৮০টি।