চীনের বসন্ত অর্থনীতি
ফুল-পর্যটনের মাধ্যমে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্য শিল্প উন্নয়ন করা যায়। খাবার, হোটেল, পরিবহনসহ নানা ক্ষেত্রে ভোগ বাড়ছে। পাশাপাশি বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে আরও বেশি পর্যটক আকর্ষণ করা যাবে।
আপনারা কি জানেন, ফুল খাওয়াও যায়। ইউননান প্রদেশের খুন মিং শহরের একটি কাচা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩০টির বেশি ফুল, যার সবগুলো খাওয়া যায়। স্টলের মালিক খাওয়ার পদ্ধতিকে ভোক্তার কাছে তুলে ধরছেন। এ বাজারে ৬০০টির বেশি স্টল আছে এবং সাপ্তাহিক ছুটির সময়ে প্রতিদিন ৫০-৬০ হাজার মানুষ এখানে আসে। বাজার ছাড়া, অনলাইন কেনাকাটা প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ফুলগুলো সারা চীনে বিক্রি হয়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী চলতি বছরের বসন্তে ফুল ও শাকসবজির বিক্রির পরিমাণ গত বছরের তুলনায় ৩.৫ গুণ বেশি।
ফুল ও শাকসবজি ছাড়া, বসন্ত কল চা পাতা ফলনের সময়। কুয়াং সি, সি ছুয়ান, হুবেই ও ফুচিয়ানসহ নানা চা উৎপাদন এলাকায় ইতোমধ্যেই প্রথম দফা অর্ডার পাওয়া গেছে। সিছুয়ান প্রদেশের ইয়া আনের ‘মেং তিং’ চা সুপরিচিত। এবারের বসন্তকালে অনেক ক্রেতা ও পর্যটক তাজা চা খেতে আসছেন ইয়া আন শহরে। ইয়া আনের চা বাগানে প্রতিদিন ১০ কোটি কেজি নতুন চা পাতা পাওয়া যায় এবং প্রতি কেজির দাম ৪০ ইউয়ানের কাছাকাছি। এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে চা বিক্রির আয় হয়েছে ১৭০ কোটি ইউয়ান।
ভোক্তারা এখন শুধু তাজা চা খেতে পছন্দ করেন তা নয়, তারা স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনও করতে চান। চা খাওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় সংস্কৃতি ও ইতিহাস সম্পর্কে জানা নতুন একটি ভ্রমণের পদ্ধতি।
বেইজিংয়ের মূল রাস্তা, ছাং আন সড়কে একজন পুরুষ সাইকেল চালাচ্ছে। এ মাসে তিনি নতুন একটি সাইকেল কিনেছেন এবং বসন্তকাল সাইক্লিংয়ের জন্য উপযোগী সময়।