অপরিচিত একটি চীনা শহর যেভাবে একটি ইন্টারনেট সেলিব্রিটি শহর হয়ে উঠে
এখন আরও বেশি মানুষ থিয়ান সুই শহরে দেখতে আসেন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী মার্চ মাসে থিয়ান সুই শহরে দর্শনীয় স্থানের টিকিট বিক্রি ২১৬.৮ শতাংশ বেড়েছে।
যদিও মা লা থাংয়ের কারণে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে থিয়ান সুই শহরে আসছেন মানুষেরা, পাশাপাশি তারা থিয়ান সুইর ইতিহাস ও সংস্কৃতিও অনুভব করেন।
বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে থিয়ান সুইর গল্প কোন আকস্মিক ঘটনা নয়। সি’আন, হ্য নান, চি পো, হার্বিনের মতো শহর ও প্রদেশও অল্প সময়ে ইন্টারনেট সেলিব্রিটি হয়ে উঠেছে। অপরিচিত শহরগুলোতে ইন্টারনেটের সাহায্যে এসেছে সাংস্কৃতিক পর্যটনের প্রবাহ।
পর্যটকদেরকে সেবা প্রদান করতে থিয়ান সুই শহর বিশেষভাবে মা লা থাং বাস চালু করে এবং পর্যটকরা সরাসরি মা লা থাং দোকানে পৌঁছে দেয়। সড়কে শহর নতুনভাবে সাজাতে কর্মীরা পরিশ্রম করেছেন। সরকার অফিস সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে, সেখানে বিনামূল্য চা, পার্কিং ও টয়লেট পরিষেবা পাওয়া যায়। স্থানীয় কোম্পানি ও নাগরিক পর্যটকদেরকে সক্রিয়ভাবে উপহার দেয়। একজন পর্যটক বলেন, মা লা থাং খেতে তিনি মাত্র ২০ ইউয়ান ব্যয় করেন, তবে ১০ বারোটি উপহার পেয়েছেন। তার ব্যাগে ফলের রস, মরিচসহ অনেক কিছু আছে এবং হাতে লেখা একটি পর্যটন গাইড বুকও আছে।
থিয়ান সুইর নানা দর্শনীয় স্থান একদিকে খোলা রাখার সময় বাড়িয়েছে, অন্যদিকে টিকিটে ডিসকাউন্ট ব্যবস্থা চালু করেছে। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য যেমন নাচ, কংফু অনুষ্ঠানও নিয়মিত দর্শনীয় স্থানে পরিবেশনা করা হয়। প্রথম স্তরের শহরের তুলনায় অবকাঠামো, সেবা দক্ষতাসহ নানা ক্ষেত্রে থিয়ান সুইর দুর্বলতা রয়েছে, তবে যদি উন্নয়ন করতে চায়, অগ্রগতি অর্জন করতে চায়, সেটা কেউ আটকে রাখতে পারে না।
উত্তর-পশ্চিম চীনের ছোট এ শহরও এমন একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, যা থেকে চীনে হাজার হাজার ছোট শহর শিখতে পারে এবং আস্থা পেতে পারে।