অপরিচিত একটি চীনা শহর যেভাবে একটি ইন্টারনেট সেলিব্রিটি শহর হয়ে উঠে
সাক্ষাত্কারের শেষে হু সিয়াও ইউয়ু মা লা থাংয়ের এক একটি বাঁশের কাঠি সংগ্রহ করছেন। প্রতিদিন তিনি ১০ হাজারের বেশি বাঁশের কাঠি সংগ্রহ করেন। তিনি হেসে বলেন, কখনও ভাবেনি তার হোমটাইউন একটি খাবারের কারণে বিখ্যাত হয়ে উঠবে। একজন ব্যবসায়ী হিসেবে তিনি খাবারের মান নিশ্চিত করার পাশাপাশি যতবেশি সম্ভব অন্যদেরকে শেখাতে চান। এখন তার কাছে শিখতে চান এমন মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি, তাই তিনি সরাসরি রান্নঘরে লাইভ অনুষ্ঠান করেন। তার মাধ্যমে মানুষ অনলাইনে শিখতে পারে।
কখন থেকে থিয়ান সুই মা লা থাং ইন্টারনেট জনপ্রিয় হয়ে উঠে?
সম্ভবত একজন মেয়ে সবার আগে তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ খাবারের ভিডিও শেয়ার করেন। বার বার ফরোয়ার্ডের পর অবশেষে এটি ইন্টারনেটে একটি হট শব্দে পরিণত হয়। ফেব্রুয়ারি থেকে থিয়ান সুই মা লা থাং এ শব্দের অনুসন্ধানের পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। একটি সর্ট ভিডিও প্ল্যাটফর্মে এ পর্যন্ত এর ভিডিওর ভিউ ১০৫ কোটি বার এবং অন্য একটি সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে এর সংশ্লিষ্ট পোস্ট ৩০ হাজারের বেশি।
অনেক বার থিয়ান সুই মা লা থাংয়ের ভিডিও দেখার পর ২৯ বছর বয়সি মেয়ে চাও চিং একবার খাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন আর এখন তিনি নিজের এ সিদ্ধান্ত নিয়ে বেশ সন্তুষ্ট। এখন সুস্বাদু খাবার খুঁজে বের করা চীনে এক ধরনের জীবনযাপনের রীতিতে পরিণত হয়। বিগ ডেটা এমন মানুষের কাছে সুস্বাদু খাবারের তথ্য দিয়েছে। লিয়াও নিং প্রদেশের শেন ইয়াং শহরের মানুষ চু ইউয়ু সুয়ান ৪ ঘন্টার ফ্লাইট এবং কয়েক ঘন্টার বুলেট ট্রেন এবং কয়েক ঘন্টার লাইনের পর অবশেষে মা লা থাং খেয়েছেন। তার জন্য এত কষ্ট করে এত দূর থেকে আসা কোনো ব্যাপার নয়।
এ সুযোগ ধরে থিয়ান সুইয়ের মানুষ স্থানীয় কৃষিপণ্য ও দর্শনীয় স্থানের প্রচারণাও করেন।
কান কু জেলার একটি মরিচ প্রক্রিয়াকরণ কোম্পানির ম্যানেজার হ্য চি বিন বলেছেন, সম্প্রতি প্রতিদিন তার কোম্পানি অনলাইন এক হাজার অর্ডার পাচ্ছে এবং চীনের একটি অনলাইন কেনাকাটা প্ল্যাফর্ম চিং তুংয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গেল দু সপ্তাহে থিয়ান সুই মরিচ এবং আলু সংশ্লিষ্ট পণ্যবিক্রি পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে।