বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পে চীনা-মালয়েশীয় নির্মাতার গল্প
মালয়েশিয়ার ইস্ট কোস্ট রেল লিঙ্ক বা ইসিআরএল সেরেন্দাহ ২ নম্বরে পুরোদমে চলছে সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ। মাটি ফুঁড়ে কাজ করে চলেছে খননযন্ত্র। সুড়ঙ্গ থেকে বের হয়ে, নিরাপত্তা হেলমেট ও প্রতিরক্ষামূলক পোশাক পরা খাং ফুশেংকে ঘামতে দেখা গেল।
৩৮ বছর বয়সী খাং ফুশেং এ প্রকল্পে যোগ দেন ২০২১ সালে। এখন তিনি অষ্টম বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী। দায়িত্ব পালনে তিনি পেশাদার এবং তার দায়িত্বে থাকা সুড়ঙ্গ, সেতু ও কালভার্টসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনা করতেও তিনি সুদক্ষ।
চায়না কমিউনিকেশন্স কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (সিসিসিসি)’র নির্মিত ৬শ’ কিলোমিটারের বেশি দীর্ঘ ইসিআরএল’কে মালয়েশিয়ার পূর্ব ও পশ্চিম উপকুল সংযুক্ত করার ‘স্থল সেতু’ বিবেচনা করা হয়। চলতি বছরের বসন্ত উৎসবের আগেই ২৭টি সুড়ঙ্গ হলিং-থ্রু, ১৩টি স্টেশনের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে।
বসন্ত উৎসব চলাকালে সেরেন্দাহ ২ নম্বর সুড়ঙ্গের নির্মাণ সাইটের আশপাশে লাল লণ্ঠন ঝোলানো হয় এবং শুভ ‘ফু’ অক্ষর ঝোলানো হয়। তবে চান্দ্র নববর্ষের প্রথম দিন নির্মাতাদের ব্যস্ততাতেই কেটেছে।
খাং ফুশেং জানান, সেরেন্দাহ-২ নম্বর সুড়ঙ্গ হলো তাদের বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। সুড়ঙ্গের ভূতাত্ত্বিক ঝুঁকি অনেক বেশি। এখানে পরিবেশগত নিরাপত্তার চাহিদা বেশি। আবার হাতে বেশি সময়ও নেই। অনেকগুলো পদ্ধতির মাধ্যমে তারা প্রথম ধাপে এখানকার পরিবেশ সংক্রান্ত কিছু তথ্য হাতে পেয়ে সুড়ঙ্গের নিরাপদ নির্মাণ নিশ্চিত করেন।
বহু বছর ধরে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ প্রকল্পের অভিজ্ঞতা থেকেই খাং ফুশেং পেয়েছেন তার জটিল সব প্রাযুক্তিক সমাধান। ২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো বিদেশে কাজ শুরু করেন তিনি। তুলনামূলক সহজ থেকে শুরু করে তার কাজগুলো ছিল পদ্ধতিগত ও জটিল। বিভিন্ন সমস্যা ও শর্ত মোকাবিলা করার দক্ষতা বেড়েছে অব্যাহতভাবে। একই সময় তিনি বিদেশে চীনের নির্মাণ-প্রযুক্তির উন্নয়নেরও একজন সাক্ষী।