বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সমৃদ্ধির পথে ছোট্ট পাহাড়ী গ্রাম
বসন্ত উত্সব চলাকালে চীনের ফু চিয়ান প্রদেশের ফু আন শহরের ফান খোং উপজেলার মাও চিয়া পিং গ্রামে ভোরবেলায় নীরবতা ভেঙেছে একটি হট্টগোল। গ্রামবাসীরা চত্ত্বরে একটি চায়ের চারা বহনকারী গাড়ি ঘিরে আগ্রহের সঙ্গে দাম জিজ্ঞেস করছেন।
আটান্ন বছর বয়সী মাও খ্য শুন নতুন কিছু চায়ের চারা বেছে নিয়েছেন। তিনি মাত্র দারিদ্র্যমুক্ত হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ভালো ফলন হলে আমার দশমিক ৬ হেক্টর জমিতে ৪০ হাজার ইউয়ান উপার্জন করতে পারি। গত বছরে সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে ভাতা পেয়েছি, যার পরিমাণ ৫ হাজার ইউয়ান। আসন্ন লণ্ঠন উত্সবের পর নতুন প্রকল্প শুরু করতে যাচ্ছি, যা আসলে আরও ভালো চায়ের চারা উদ্ভাবন করা।”
গত বছর থেকে গ্রাম কর্তৃপক্ষের নেতৃত্বে অধিকতর সংখ্যক গ্রামবাসী চায়ের জাত উন্নয়ন গ্রুপে অংশ নিয়েছেন। এ কাজে দক্ষ মাও জে ছুয়ান এক মাস আগে পাহাড়ে গিয়ে ব্যস্ত সময় শুরু করেছেন। আগে তিনি অন্যদের সঙ্গে ২ হেক্টর জমিতে ফু ইয়ু নামের চা চাষ করেছিলেন। চলতি বছর ওই ১ দশমিক ৩ হেক্টর জমিতে ফু ইয়ুন বাদ দিয়ে সোনার পিওনি নামের চা চাষ শুরু করেন। মাও জে ছুয়ান বলেন, ‘গত বছর বসন্তকালে সোনার পিওনি চা প্রতি কেজি সাড়ে ১২ ইউয়ান করে বিক্রি হয়। এ উপার্জন ফু ইয়ুন চায়ের তুলনায় দ্বিগুণ।
গত শতাব্দীর আশির দশকে মাও চিয়া পিং গ্রাম ফু চিয়ান প্রদেশের বিপ্লবী অঞ্চলের গ্রামের একটি এবং চরম দরিদ্র্য ছিল। সকলের ৩০ বছরের পরিশ্রমের পর ২০১৮ সালে মাও চিয়া পিং গ্রাম পুরোপুরি দারিদ্র্যমুক্ত হয়েছে। ২০২৩ সালে গ্রামবাসীদের মাথাপিছু আয় ২৮ হাজার ইউয়ান ছাড়িয়ে গেছে। এ অঙ্ক পুরো প্রদেশের গড় আয়ের চেয়ে বেশি।
বাইরে কর্মরত গ্রামবাসীরা বসন্ত উত্সবের সময় গ্রামে ফিরে আসেন। গ্রামের চত্ত্বরে আবার হৈচৈ শুরু হয়। গ্রামের কর্মকর্তা ও অধিবাসীরা পরস্পরকে বসন্তের শুভেচ্ছা জানান। পাশাপাশি নতুন বছরের পরিকল্পনা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেন।