পুরান বই কোথায় যায়?
পুরান বইমেলার দর্শকের মধ্যে অধিকাংশ প্রবীণ। যুবক-যুবতীরা প্রধানত দেখতে আসেন এবং পুরান বইয়ের প্রতি তাদের তেমন আগ্রহ নেই। তবে সেকেন্ড-হ্যান্ড ট্রেডিং প্ল্যাটফর্মে যুবকরা পুরান বই বিনিময় বা বিক্রয়-ক্রয় করেন। ২০১৭ সালে তুও চুয়া ইউয়ু নামে একটি সেকেন্ড-হ্যান্ড ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম চালু হয়। কিউআর কোড স্ক্যান করে ওয়েচ্যাট থেকে এ প্ল্যাটফর্মে ঢোকা যায়। পুরান বইয়ের বারকোড স্ক্যান করলে বইয়ের সব তথ্য দেখা যায় এবং প্ল্যাটফর্মও জানাতে পারে এ বই তাদের সংগ্রহ আছে কিনা বা না থাকলে সংগ্রহ করতে পারবে কিনা। এ প্ল্যাটফর্ম বই সংগ্রহ করে জীবাণুমুক্তকরণ এবং প্যাকেজিং করার পর আবার বিক্রি করে। এখানে নিজের পছন্দের বইয়ের নাম দিয়ে সার্চ করা যায় এবং সে বই থাকলে, কম দামে কেনা যায়। যদি না থাকে তাহলে তারা আপনার চাহিদা রেকর্ড করবে, যখন এ বই আসবে আপনাকে ম্যাসেজ পাঠাবে। এমন পদ্ধতি যুব মানুষের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
২০২০ সালে তুও চুয়া ইউয়ু একটি দোকান খোলেন। ৬৮১ বর্গমিটারের এ দোকানে দ্বিতীয় তলায় বিক্রি হয় পুরান বই আর তৃতীয় তলায় পুরান পোশাক। যুবক-যুবতীরা এখানে ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করেন। তবে প্রবীণদের জন্য অনলাইন কেনাকাটা পরিচিত পদ্ধতি নয়। তাছাড়া গত শতাব্দীর নব্বইয়ে দশক বা তার আগে প্রকাশিত বইয়ের বারর্কোড অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারে না।
শাংহাইয়ে যুবাদের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে গন্ডার নামে একটি বইয়ের দোকান। এর মালিক চুয়াং চিয়ান কুও ১৭ বছর বয়সে শাংহাইয়ে কাজ শুরু করেন। তার প্রথম চাকরি ছিল গন্ডার নামের একটি বইয়ের দোকানে। তাই পরে তিনি যখন নিজের বইয়ের দোকান খোলেন তখন গন্ডার নামটিই ব্যবহার করেন।
চুয়াং শুধু বই বিক্রি করেন না, তিনি একজন কবিতা অনুরাগী এবং পাঠকের জন্য ভাল বইয়ের সুপারিশ করতে পারেন। তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিদিনের কাজ রেকর্ড করেন। একদিনে কত পুরান বই বিক্রয় করেন বা সংগ্রহ করেন তা সব রেকর্ড করেন।
গত বছরের ২৭ মে, শাংহাই জাদুঘরের উদ্যোগে একটি বই বিনিময় অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। নাগরিকরা দুটি পুরান বই দিয়ে একটি নতুন বই বিনিময় করতে পারেন। এদিন দুটি জায়গায় এ আনুষ্ঠান হয় এবং মোট ৫ হাজার পুরান বই বিনিময় হয়। অনেকে আশা করেন, এমন অনুষ্ঠান পরে যাদুঘর, বইয়ের দোকান ও ক্যাফেতে আরও হবে।