পুরান বই কোথায় যায়?
বই সংবেদনশীল মূল্য বহন করে, তবে সবাই এটা বুঝতে পারে না। তাই কে পুরান বই সংগ্রহ করতে পারেন, সেটা খুঁজে বের করা বেশ কঠিন।
সিয়াও চু বুক শপ শাংহাইয়ের বৃহত্তম ব্যক্তিগত বইয়ের দোকান। ২০২৩ সালের শেষ দিকে এ দোকান বড় সংকটে পড়ে। তাদের দুটি গুদামের ভাড়ার মেয়াদ শেষ হয় এবং তাদের ১ লাখ ৮ হাজার বই রাখার জন্য জায়গার দরকার হয়। গত বছরের ডিসেম্বরে স্বেচ্ছাসেবকের সাহায্যে সিয়াও চু বই দোকানের মালিক চু ফেং থাও ১ লাখ বই হুনান প্রদেশের ইউয়ে ইয়াং শহরে দান করেন। বইগুলো নিয়ে কয়েকটি ট্রাক হাজার কিলোমিটার দূরে ইউয়ে ইয়াং শহরে যায়। অন্যদিকে সিয়াও চু বইয়ের দোকানের খবর শুনে অনেক পাঠক সাহায্যে এগিয়ে আসেন। একটি আর্ট পার্ক বই রাখার জন্য চুকে একটি জায়গা দেয়। ভবিষ্যতে এ আর্ট পার্কে একটি সিয়াও চু বইয়ের দোকান চালু হবে।
বইয়ের দোকানের মালিক চু ফেং থাওয়ের বয়স এখন ৬৬ বছর। তার বাবা গত শতাব্দীর চল্লিশের দশকে শাংহাই শহরে এসেছিলেন। প্রথমে সড়কে ছোট একটি বইয়ের স্টল খুলেছিলেন। ১৯৮০ দশকে চু ফেং থাও বইয়ের ব্যবসায় যোগ দেন। নব্বইয়ের দশকে যখন শাংহাইয়ে সাবওয়েতে প্রথম বইয়ের দোকান চালু হয়, তখন ৪০ বছর বয়সী চু ফেং থাও ছিলেন এ দোকানের প্রথম দায়িত্বশীল ব্যক্তি।
২০১১ সালে দোকানের ভাড়ার মেয়াদ শেষ হয়। একটি কমিউনিটি বিনা ভাড়ায় চুকে একটি দোকান দেয়। সেকারণে চু তার বইয়ের দোকানে থাং ছিয়াও কমিউনিটিতে স্থানান্তর করেন। কঠিন হলেও সিয়াও চু বইয়ের ব্যবসা অব্যাহত রাখেন। এখন চু ফেং থাওয়ের ছেলে চু চুন ফেং বাবাকে দোকান ব্যবস্থাপনায় সাহায্য করেন। তবে তার পরিবারের চতুর্থ প্রজন্ম এ ব্যবসা ধরে রাখবে কিনা তা নিশ্চিত নয়।
পুরান বইয়ের সংগ্রহ সহজ ব্যাপার নয়। সাধারণ মানুষ প্রশিক্ষণ না নিলে এ কাজ করতে পারেন না। পেশাদার ব্যক্তিরা সহজেই বইয়ের দাম বুঝতে পারেন এবং বইকে বিভিন্ন স্তরে ভাগ করতে পারেন। তারা কাজের মাধ্যমে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেন এবং তা যুবকদের শিখিয়ে দেন।