‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ বৈশ্বিক মানবাধিকারে চীনা বুদ্ধি ও শক্তি যোগাচ্ছে
নাইজেরিয়ার চীনা গবেষণালয়ের পরিচালক চার্লস ওনুনাইজু বলেন, চীনারা বলে, ধনী হতে চাইলে প্রথমে রাস্তা নির্মাণ করতে হয়। ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ যৌথ নির্মাণ বিভিন্ন দেশ, জাতি এমনকি গোত্রের মধ্যে যোগাযোগ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধনকে শক্তিশালী করছে, যা সংঘাত নিমূল ও যৌথ উন্নয়নের জন্য সহায়ক।
কম্বোডিয়া-চীন সমপর্ক উন্নয়ন সমিতির প্রধান সেমোনিল মনে করেন, চীন উন্নয়নের রহস্য খুঁজে পেয়েছে এবং তা বিশ্বের সঙ্গে শেয়ার করছে। ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ যৌথ নির্মাণ প্রস্তাব নানা দেশের জন্য সহযোগিতার সুযোগ সৃষ্টি করেছে এবং স্থানীয় মানুষের জীবনও এর কারণে অনেক উন্নত হয়েছে।
প্রত্যেকে সম্পূর্ণভাবে মানবাধিকার উপভোগ করবে - এটা মানবসমাজের মহান একটি স্বপ্ন। মানবাধিকার উন্নয়ন ও রক্ষা মানবজাতির অভিন্ন কাজ এবং এর জন্য সবার প্রচেষ্টার দরকার।
বর্তমানে ক্ষুধা, দারিদ্র, যুদ্ধ, পরিবেশ দূষণসহ অনেক সমস্যার সমাধান হয়নি। উন্নয়নের ভারসাম্যহীনতা, সমন্বয়হীনতা, টেকসইহীনতা এমন নানা সমস্যাও রয়েছে। মানবাধিকার উন্নয়ন ও প্রশাসন কঠোর চ্যালেঞ্জের মুখে। থিঙ্ক ট্যাঙ্কের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’যৌথ নির্মাণ উন্নয়নশীল দেশগুলোর চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
মানুষের সুখী জীবন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানবাধিকার। পাকিস্তান ইসলামবাদ শান্তি ও কূটনৈতিক গবেষণালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ আসিফ নূর বলেন, সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর দারিদ্রবিমোচন, মানুষের জীবিকার মান উন্নয়ন এবং শিক্ষায় আর্থিক সমর্থন দেওয়াসহ নানা ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’যৌথ নির্মাণ।
বিভিন্ন দেশের উন্নয়ন গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত এবং সহযোগিতা উন্নয়নের বাধা দূর করার সবচেয়ে ভাল উপায়। ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ যৌথ নির্মাণের মাধ্যমে একটি সহনশীল, বাস্তব ও ব্যাপক আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা হয়েছে। সুইসজারল্যান্ডের বিদেশি সাংবাদিক সমিতির চেয়ারম্যান পিটার কেনি ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’যৌথ নির্মাণের আওতায় আফ্রিকান দেশগুলোর অবকাঠামো উন্নয়নের উপর বিশেষভাবে দৃষ্টি রাখেন। তিনি বলেন, উন্নয়নের জন্য অবকাঠামো খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ যৌথ নির্মাণের মাধ্যমে আফ্রিকান দেশগুলোর মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।