‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ বৈশ্বিক মানবাধিকারে চীনা বুদ্ধি ও শক্তি যোগাচ্ছে
বেল্ট অ্যান্ড রোড’ একটি শান্তি, সমৃদ্ধি, উন্মুক্ততা, নবায়ন ও সভ্যতার পথ এবং মানবজাতির অভিন্ন উন্নয়ন বাস্তবায়নের একটি পথ।
চীনা মানবাধিকার উন্নয়ন তহবিল ও সিনহুয়া বার্তা সংস্থার জাতীয় হাই-এন্ড থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সম্প্রতি যৌথভাবে প্রকাশ করে ‘আরও ভাল বিশ্বের জন্য - মানবাধিকারের দিক থেকে ১০ বছরের‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ যৌথ নির্মাণ দেখা’ শিরোনামের একটি প্রতিবেদন। এতে বলা হয়, গেল ১০ বছরে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ যৌথ নির্মাণ একটি প্রত্যাশা থেকে বাস্তবে পরিণত হয়েছে। নানা দেশের উন্নয়ন ও মানুষের জীবিকার মান উন্নয়নে অবদান রেখেছে, মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার, উন্নয়নের অধিকার নিশ্চিত করেছে এবং বিশ্ব মানবাধিকার উন্নয়নের ভিত্তি তৈরি করেছে।
বেঁচে থাকার অধিকার হলো সব মানবাধিকার উপভোগের ভিত্তি। মানুষের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য ও পোশাক যোগানো, চাকরি ও স্বাস্থ্য নিশ্চিত করা এখনও অনেক দেশের জন্য জরুরি একটি কাজ। প্রতিবেদনে বলা হয়, গেল ১০ বছরে, ধারাবাহিক ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ যৌথ নির্মাণ প্রকল্পের সাহায্যে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর মানুষের জীবিকা ও চিকিত্সার মান উন্নত হয়েছে। কর্মসংস্থান ও আয় বেড়েছে, যাতে মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী রয়েছে অসংখ্যা এমন প্রাণবন্ত উদাহরণ।
বুরুন্ডির জিহাঙ্গা জেলায় কৃষক শায়ার নেগেনদাকুমানা ধান ক্ষেতের বাম্পার ফলন দেখে ভীষণ আনন্দিত। ২০১৮ সাল থেকে চীনের কৃষি বিশেষজ্ঞের তার গ্রামকে ধান চাষের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচনের একটি দৃষ্টান্ত হিসেবে বেছে নেন এবং স্থানীয় কৃষকরা চীনা বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে হাইব্রিড ধান চাষের কৌশল শেখেন। তারা দ্রুত ক্ষুধা-সমস্যা সমাধান করেন এবং প্রচুর খাদ্য চাষ করে, নতুন বাড়িঘরও নির্মাণ করেন।
সেনেগালের তেনে ফুলার গ্রাম শহরের থেকে দূরে গরম ও জনশূন্য একটি জায়গা। আগে গ্রামে পানি সরবরাহের সরঞ্জাম পুরাতন হয়ে গেলে পানি সংগ্রহে গ্রামবাসিদের দেড় কিলোমিটার দূরে পাশের গ্রাম যেতে হতো। পানি নিতে লাইন থাকতে হতো ভোর থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত। এ কারণে গ্রামের শিশুরাও স্কুলে যেত না। কয়েক বছর আগে চীনের অর্থায়নে সেনেগালে চালু হয় একটি গ্রাম কূপ খননের প্রকল্প। এ প্রকল্পের আওতায় তেনে ফুলার গ্রামের প্রথম কূপ বসে। গ্রামবাসীরা এখন প্রতিদিন পরিস্কার পানি পান করতে পারে এবং এ প্রকল্পের সাহায্যে সেনেগালের ৭ ভাগের এক ভাগের মানুষের খাবার পানির সমস্যার সমাধান হয়েছে।