ফসল কাটার রহস্য
প্রাচীনকাল থেকে দেশটি তার জনগণের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে এবং খাদ্য জনগণের প্রথম অগ্রাধিকার। খাদ্যে স্থিতিশীল হলেই এই বিশ্ব শান্তিতে থাকতে পারে।
বীজ হল কৃষির "চিপস" এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চাবিকাঠি।
চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং যখন ২০২২ সালের এপ্রিলে মাসে ইয়াচৌওয়ান বীজ গবেষণাগার পরিদর্শন করেন, তখন তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, শুধুমাত্র নিজের হাতে চীনের বীজ আঁকড়ে ধরে চীনের চালের বাটি স্থিতিশীল করা যায় এবং খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন করা যায়।
চীনের লিয়াও নিং প্রদেশের শেন ইয়াং শহরের থিয়ানলুং জীববিজ্ঞান কোম্পানির প্রযুক্তি সেবা বিভাগের ম্যানেজার লি হুং ছেন ক্ষেতে সাংবাদিককে জানান যে, চলতি বছর আমাদের চাষ করা ধানের ধরণ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো, লবণ-ক্ষার সহনশীলতা, চালের চেহারা ও গুণমান ভালো, উচ্চ ভোজ্য মূল্য হয়। উত্পাদনের পরিমাণও ভালো। সবই ভালো বীজ বাছাই করার সুফল।
ভালো বীজ থাকলে ফলন হয়। ধানের বীজ লালন একটি কঠিন এবং প্রযুক্তিগত ব্যাপার।
কোম্পানির ভাইস ম্যানেজার কুয়ান ফেং জানান যে, আমরা উত্পাদনের পরিমাণ নিশ্চিত করার ভিত্তিতে আরো শ্রেষ্ঠ প্রজাতি লালন করি। বর্তমান পর্যায়ে আমরা প্রধানত ধানক্ষেত পর্যবেক্ষণ করি, সূচকগুলো রেকর্ড করি, ধান পরিপক্ব হওয়ার পর আমরা পরীক্ষাগারে বিভিন্ন প্রজাতির উত্পাদনের পরিমাণ, স্বাদ যাচাই করি। অন্তত চার, পাঁচ বছর পর একটি নতুন ধানের প্রজাতি লালন করা যায়।
মাঠের পরিশ্রম এবং পরীক্ষাগারে ওভারটাইম কাজ বৈজ্ঞানিক গবেষকদের জন্য প্রতিদিনের রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের হাজার হাজার নমুনা থেকে উচ্চ-মানের জাত নির্বাচন করতে হবে এবং বাম্পার ফলন নিশ্চিত করতে সেরা বীজ বপন করতে হবে। প্রজননকারীরা ধৈর্য ধরে ট্রায়াল, ত্রুটি ও আজকের সফলতা অর্জন করতে পেরেছেন।