পিচ ফলের আদি শহরে এর ফলনে প্রযুক্তির ভূমিকা বেড়েছে
গ্রীষ্মকালে তাপপ্রবাহে পিচের আদি শহর হিসেবে খ্যাত চীনের চিয়াং সু প্রদেশের উ সি শহরের ইয়াং শান উপজেলায় প্রবেশ করলে বাতাসে পিচের সুগন্ধ পাওয়া যায়। পিচ বনের মধ্যে দৃষ্টি প্রসারিত করলে দেখা যায় পিচ তোলা ও প্যাকেটিংয়ে চাষীদের ব্যস্ততা। আর সবাইকে আশ্চর্য করে দেয় প্রযুক্তি-নির্ভর পিচ চাষের দৃশ্য।
“এটি আমাদের পরীক্ষামূলকভাবে ইংরেজি শব্দ ‘Y’ (ওয়াই) আকারের পদ্ধতিতে চাষ করা পিচ খাত। ইন্টারনেট অব থিংস বা আইওটি প্রযুক্তির মাধ্যমে সময়মতো পিচ বড় হওয়া তত্ত্বাবধান করা যায়। এটি বিশেষ করে যান্ত্রিক কাজের জন্য অনুকূল।” ইয়াং শান উপজেলার পিচ চাষী এবং চিয়াং ছিন পারিবারিক সমবায়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা সুন চিয়ান ছিন অদূরে একটি পিচ বাগান লক্ষ্য করে এ কথাগুলো বলছিলেন। সে পিচ বাগানে দেখা যায় নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে চাষ করা পিচ গাছের উচ্চতা চার মিটারেরও বেশি। এক গাছ থেকে আরেক গাছের দূরত্ব দেড় মিটার, যার ভিতর দিয়ে পরিবহন গাড়ি ও পিচ তোলার যন্ত্র বাগানে সহজে যাতায়াত করতে পারে।
সুন চিয়ান ছিন জানান, তিনি ১০ হেক্টর জমিতে পিচ চাষ করেছেন। নতুন পদ্ধতিতে পিচ চাষ করলে ফলন ২০ শতাংশ বাড়ে। মানুষের পরিবর্তে যন্ত্র ব্যবহার করা হলে, কার্যকারিতাও বাড়ে। চলতি বছর তার বাগানে উৎপাদিত ফল বিক্রি ৩০ লাখ ইউয়ান ছাড়িয়ে যাবে বলে অনুমান করছেন তিনি।
সুন চিয়ান ছিন বলেন, “আমাদের পিচ বাগানে আছে ৩০টিরও বেশি পিচ প্রজাতি। কৃষি প্রযুক্তিবিদদের সঙ্গে যৌথভাবে গবেষণা করে আমরা গাছে ফল ধরার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি।”
ইয়াং শান উপজেলায় প্রায়ই প্রতিটি পরিবার পিচ চাষ করে। সুন চিয়ান ছিনের মতো প্রযুক্তির সুবিধা গ্রহণকারী লোকের সংখ্যাও কম নয়। গত বছরে ইয়াং শান উপজেলায় পিচ চাষ করা হয়েছিল ২ হাজার ৫৩৩ হেক্টর জমিতে। উপযুক্ত যান্ত্রিক চাষের মাধ্যমে এখানকার পিচের উত্পাদন ৩৪ হাজার টন ছাড়িয়ে গেছে। পিচ শিল্প-চেইনের আকার ২০০ কোটি ইউয়ান অতিক্রম করেছে। কৃষকদের বার্ষিক মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ৬২ হাজার ইউয়ানে।