পিচ ফলের আদি শহরে এর ফলনে প্রযুক্তির ভূমিকা বেড়েছে
ইয়াং শান পিচ চাষী সমিতির সাবেক মহাসচিব কৃষি প্রযুক্তিবিদ চাও ই রেন বলেন, ইয়াং শান উপজেলার পিচের বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এর খোসা পাতলা এবং খাবার উপযোগী অংশ পরিমাণে বেশি, রসালো ও মিষ্টি। অনুকূল পরিবেশ ছাড়াও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের কারণে ইয়াং শান উপজেলার পিচ দীর্ঘকাল ধরে বাজারে জনপ্রিয় থাকছে।
সেন্সরের মাধ্যমে পিচ গাছের বৃদ্ধির পরিবেশ-সংক্রান্ত ডেটা সংগ্রহ করা, পোকা প্রতিরোধের পুর্বাভাস এবং প্রযুক্তি-নির্ভর মাধ্যমে সেচ দেওয়াসহ নানা নতুন প্রযুক্তি ও পদ্ধতি প্রদর্শন করছে হুই শান অঞ্চলের ইয়াং শান উপজেলার গবেষণালয়।
হুই শান জাতীয় আধুনিক কৃষিশিল্প উদ্যানের উত্পাদন প্রযুক্তি বিভাগের প্রধান তাই হুই চুন বলেন, “আমরা দৃষ্টান্তমূলক নেতৃত্ব দিতে চাই, যাতে অধিতর সংখ্যক কৃষক ‘প্রযুক্তি-নির্ভর পিচ চাষ করতে চান।” তিনি আরও জানান, ইয়াং শান উপেজলায় তাদের শিল্প উদ্যানে বীজসম্পদ খাতের পাশাপাশি গ্রিনহাউসে পিচ চাষসহ নানা শিক্ষণীয় নতুন পদ্ধতি শেখানো হচ্ছে।
উ সি শহরের থাই হু অঞ্চলের ইয়াং শান পিচ প্রযুক্তি কোম্পানি লিমিটেডের আছে ২৩৩ হেক্টর পিচ গবেষণা কেন্দ্র। এ কোম্পানি থ্রিডি দৃষ্টি প্রযুক্তির ভিত্তিতে স্মার্ট যন্ত্রের মাধ্যমে পিচের আকার, ওজন ও মাধুর্য অনুযায়ী সেগুলোর শ্রেণীবিন্যাস করে। প্রতি মিনিটে ১৮০টি পিচের শ্রেণীবিন্যাস করা সম্ভব হয়। পাশাপাশি ফল রোগে আক্রান্ত হয়েছে কিনা, তাও লক্ষ্য করা যায় এ যন্ত্রের মাধ্যমে।
প্রযুক্তির সাহায্য পিচ সংগ্রহ করা এবং প্যাকেটিং করা আরও স্মার্ট হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বিক্রিও অনেক বেড়েছে। এক মোবাইল স্ক্রিনের আমলে জন্মগ্রহণ করা কৃষক লু ইয়ু লিন লাইভ স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে পিচ বিক্রি করছেন। তিনি জানান, পিক সিজনে তিনি একবার লাইভ স্ট্রিমিং করলে ৩ লাখ ইউয়ান পর্যন্ত উপার্জন করতে পারেন।
ইয়াং শান উপজেলার ভাইস-গভর্নর ইয়াও কুও চিন জানান, চলতি বছর অনলাইনে ইয়াং শানের পিচ বিক্রির পরিমাণ জেলার মোট বিক্রির ৪০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। তিনি বলেন, “প্রযুক্তি গ্রামীণ পুনরুজ্জীবনে চালিকাশক্তি যোগাচ্ছে। পিচ শিল্পে সবুজ রূপান্তর ও ডিজিটাইজ করতে হবে, যাতে ইয়াং শান পিচের নাম আরও উজ্জ্বল হয়।”