রোববারের আলাপন- গণ-শরীরচর্চা দিবস
১৯৯৫ সালের জুন মাসে, ‘গণ-শরীরচর্চা পরিকল্পনা’ প্রকাশিত হয়। চীনে আনুষ্ঠানিকভাবে গণ-শরীরচর্চা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা শুরু হয়। এরপর দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনায় বা সরকারের কর্ম-প্রতিবেদনে গণ-শরীরচর্চাকে গুরুত্বারোপ করা হয়। গণ-শরীরচর্চা চীনের জাতীয় কৌশলে উন্নত করা হয়েছে। এরপর ‘সার্বিকভাবে নতুন যুগে স্কুলের খেলাধুলা উন্নত করা বিষয়ক পরিকল্পনা’, ‘গণ-শরীরচর্চা পরিকল্পনা ২০২১ সাল- ২০২৫ সাল’, ‘খেলাধুলার খাতে শক্তিশালী দেশ নির্মাণের পরিকল্পনা’, ‘সুস্থ চীন ২০৩০ পরিকল্পনা’সহ একাধিক নীতি প্রকাশিত ও চালু হয়েছে। যা গণ-শরীরচর্চার অব্যাহত উন্নয়নের বিষয়কে নিশ্চিত করে।
সংশ্লিষ্ট তথ্যে দেয়া যায়, ২০২০ সালে, চীনে মাঝে মাঝে শরীরচর্চা করা মানুষের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৩৭.২ শতাংশে পৌঁছেছে। তথ্যানুযায়ী, গণ-শরীরচর্চার অব্যাহত সুষ্ঠু উন্নয়ন প্রবণতা বজায় রয়েছে। পাশাপাশি, অনেকে ইতোমধ্যে গণ-শরীরচর্চার ধারণা গ্রহণ করেছেন।
বন্ধুরা, ৮ আগস্ট, ছেংতু ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি গেমস শেষ হয়। তাসহ একাধিক বড় আকারের আন্তর্জাতিক গেমসের আয়োজন চীনের গণ-শরীরচর্চা খাত অনেক এগিয়ে নিয়েছে। আমরা এবারের ছেংতু ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি গেমসের উদাহরণটি দেখি। ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি গেমসের আয়োজক শহর নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে, ছেংতুতে মোট ৪৯টি স্টেডিয়াম নির্মিত হয়েছে বা সংস্কার হয়েছে। এর মধ্যে, ৩৬টি আগের পুরানো স্টেডিয়াম থেকে উঁচু মানে উন্নীত করা। সংস্কার করা স্টেডিয়ামগুলো বেশিরভাগই বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত। গেমস আয়োজনের পর তা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া খাত উন্নয়নে কাজ করতে পারবে।
পাশাপাশি, ছেংতু ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি গেমসের স্টেডিয়াম ও স্থাপনা ইতোমধ্যে স্থানীয় বাসিন্দাদের শরীরচর্চার জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, এ সব স্টেডিয়াম ও স্থাপনা ৫০.৯ লাখ লোককে সেবা দিয়েছে।