বাংলা

চীনা তরুণের রোমাঞ্চকর ভ্রমণ কাহিনী

CMGPublished: 2023-05-24 19:18:38
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

প্রথম যাত্রার শেষ স্টপ ছিল বেইজিংয়ের হিনা ইউনিভার্সিটি অব জিও-সাইন্স। ওই স্কুলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তার দেখা হয় এবং তারা পোস্ট কার্ড বিনিময় করে। এখনও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বাজায় রাখছে চিয়াং।

দ্বিতীয় যাত্রায় সে নান চিং শহরের সিয়ান লিন কলেজে যায়। সে তার নোটে লিখে, আমি এখানকার ছাত্রদের ঈর্ষা করি কারণ এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ অনেক সুন্দর। পাশাপাশি, এখানকার শিক্ষার্থীরা তাকে জানায়, তুমি এমন কিছু করেছো- যা আমরা কখনো ভাবিনি, খুব চমৎকার।

দুবার বাস যাত্রা চিয়া সিয়াকে অনেক স্বীকৃতি এনে দিয়েছে। তার মতে, আমি কখনো এ ১৩ দিনের কথা ভুলব না। আমি কখনো ব্যর্থ হতে বা হারিয়ে যেতে শুরু করলে এ ১৩ দিনের অভিজ্ঞতাকে স্মরণ করবো।

দুবারের যাত্রায় সে দক্ষিণ থেকে উত্তর এবং পশ্চিম থেকে পূর্বের ৫টি প্রদেশের ২৪ শহর ও ২০০০টি বাস স্টপ অতিক্রম করেছে। বাসের বাইরের দৃশ্যের পাশাপাশি মানুষের অ্যাকসেন্ট পরিবর্তন হতে দেখেছে সে।

সে নৌকায় ইয়াংসি নদী অতিক্রম করেছে। থিয়ান চিন শহরে সমুদ্রের পাশে গিয়েছে। পাশাপাশি, বিভিন্ন শহরে সুস্বাদু খাবারও খেয়েছে। তার মতে, চীনের প্রতিটি শহরের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য আছে। শহরের সংস্কৃতি ও ইতিহাস তাকে আকর্ষণ করে। সে সব বাস স্টপের নামও নোটবুকে লিখে রেখেছে।

যাত্রা পথে অনেক দয়ালু ও আন্তরিক মানুষের সঙ্গে তার দেখা হয়েছে। বাসের চালক তাকে পথ দেখিয়েছেন। একবার থাই আন শহর থেকে চি নান শহরে যাবার সময়ে বাস নষ্ট হয়ে যায়। বাস কোম্পানি চিয়াং সিয়াসহ ৪জন যাত্রীর জন্য বিশেষ একটি বাসের ব্যবস্থা করে।

পরবর্তী ভ্রমণের পরিকল্পনা করছে চিয়াং সিয়া। তার জীবন আগের ভ্রমণের কারণে পরিবর্তন হয়নি। সে আগের মতোই নিজের স্কুলের জীবন উপভোগ করছে।

ছোটবেলায় তার নানী তাকে নিয়ে অনেক বার বাসে চরেছেন। কয়েক বছর আগে নানী হৃদরোগে মারা যান। সিয়াং সিয়া মেডিসিন স্কুলে পড়ার চেষ্টা করেছে। নানী তার বাস ভ্রমণে সমর্থন দিতেন। জীবন যাত্রার মতো, আমাদের উচিৎ সব সময় পরবর্তী স্টেশনের উদ্দেশে সাহস নিয়ে যাওয়া।

首页上一页123 3

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn