চীনা তরুণের রোমাঞ্চকর ভ্রমণ কাহিনী
পরিকল্পনা আগেই তৈরি করলেও চিয়াং সিয়ার যাত্রা এত সুষ্ঠু হয় না। যেমন: গ্রামে হাত না নাড়লে বাস থামে না। একবার যখন বাস আসে, তখন চিয়াং সিয়া ফোনে বাসের সময়সূচি দেখছিল, তাই হাত নাড়তে পারেনি। ফলে তাকে আরও এক ঘণ্টার মতো অপেক্ষা করতে হয়েছে পরের বাসের জন্য।
হ্য পেই প্রদেশের হুয়াং হুয়া থেকে থিয়ান চিন শহরের মধ্যে কোন বাসের ব্যবস্থা নেই। তাই তাকে ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার হাঁটতে হয়। ক্লান্ত হয়ে মাঝেমাঝে সে সুটকেসে বসে বিস্কুট খায়। ত্রিশ কিলোমিটার তার জন্য সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ ছিল না; আসল সমস্যা ছিল সু চৌ শহরের বিমান বন্দরের কাছাকাছি ১ কিলোমিটার পথ পারি দেয়া। কারণ সেখানে ওই দিন প্রচুর বাতাস ছিল। সে সুটকেস নিয়ে হাঁটতে পারছিল না। শীত্কালের ঠাণ্ডা বাতাসে তার হাত রক্তবর্ণ হয়ে যায়। ওই দিন অনেক ভেবে সে হোটেলে থাকে। এ যাত্রায় সে মাত্র একবার হোটেলে থেকেছে। বাকি সময় সে সুবিধাজনক স্টোর বা ইন্টারনেট ক্যাফেতে কেবল ৩০ ইউয়ান দিয়ে রাত কাটিয়েছে।
তার পরিবার তার এ যাত্রার কথা জানতো না, তবে তারা অনলাইনে তার ভিডিও দেখেছে। তার মা ফোনে শুরুতে তাকে বকা দেন, তবে অবশেষে তাকে নিরাপদে থাকার উপদেশ দেন। আর ফোনে বাবার প্রথম কথা ছিল তোমার কাছে কি টাকা আছে?
তার বাস ভ্রমণও ইন্টারনেটে অনেক বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। কেউ কেউ বলেছেন, চিয়াং সিয়া ১৩ দিন কষ্ট করেছে। ধুলো এবং পেট্রোলের গন্ধ ছাড়া সে কী দৃশ্য দেখতে পেয়েছে? তবে চিয়াং সিয়ার মতে, ১৩ দিনে সে অনেক কিছু অর্জন করেছে। স্কুলে থাকলে সে ১৩ দিন গেমস খেলে এবং ঘুমিয়ে কাটাতো।
দু’বার যাত্রার মাধ্যমে বড় হয়েছে চিয়াং সিয়া। যাত্রা পথে সে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা ভুলে যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে ছবি তুলে সে অনলাইনে পোস্ট করেছে। যার ফ্যানের সংখ্যাও ১০০ থেকে বেড়ে ১০ হাজারে দাঁড়িয়েছে।