নতুন যুগে চীন-ইন্দোনেশিয়া সম্পর্ক...
ভারত মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগর এখানে মিলিত হয়েছে। বহু সভ্যতার সহাবস্থান রয়েছে এখানে। হাজার হাজার দ্বীপের দেশ ইন্দোনেশিয়া। উষ্ণ সামুদ্রিক বাতাস, সৈকত, সূর্যালোকের মধ্য দিয়ে দূর থেকে আসা অতিথিকে স্বাগত জানিয়েছে দেশটি।
ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ১৪ থেকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত বালি দ্বীপের জি-২০ শীর্ষসম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন। তাতে উচ্চ আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছেন ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন মহল।
চীন ও ইন্দোনেশিয়ার শীর্ষনেতাদের আদানপ্রদান দু’দেশের সম্পর্কের সুষ্ঠু পরিচালনা নিশ্চিত করেছে। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ২০১৩ ও ২০১৫ সালে দু’বার ইন্দোনেশিয়া সফর করেন। ২০১৩ সালের সফরের সময়, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্কে উন্নীত করেছেন। গত জুন মাসে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো পঞ্চমবারের মতো চীন সফর করেন। এটি বেইজিং শীত্কালীন অলিম্পিক গেমসের পর চীনে আসা বিদেশি নেতার প্রথম সফর। দু’নেতা চীন-ইন্দোনেশিয়া অভিন্ন স্বার্থের কমিউনিটি গঠনের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বলেছেন, চীন ও ইন্দোনেশিয়া মোটামুটি একই উন্নয়নের পর্যায়ে রয়েছে। দু’দেশের মধ্যে আছে অভিন্ন স্বার্থ এবং ভবিষ্যতের সম্ভাবনা। চীন-ইন্দোনেশিয়া অভিন্ন স্বার্থের কমিউনিটি গঠন দু’দেশের জনগণের অভিন্ন প্রত্যাশা।
চীন-ইন্দোনেশিয়া শিল্প অঞ্চল
ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো বলেছেন, বর্তমানে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ইন্দোনেশিয়া ও চীনের মধ্যে সুষ্ঠু সহযোগিতায় দু’দেশের সম্পর্কের কৌশলগত সহযোগিতা প্রতিফলিত হয়েছে, যা এতদঞ্চল ও বিশ্বের জন্য ইতিবাচক শক্তি প্রদান করেছে।