নতুন যুগে চীন-ইন্দোনেশিয়া সম্পর্ক...
বর্তমানে চীন-ইন্দোনেশিয়া অভিন্ন স্বার্থের কমিউনিটির গঠন দ্রুত এগিয়ে চলছে। দু’দেশ তাদের নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ মতৈক্য বাস্তবায়ন করে অব্যাহতভাবে দু’দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি ও সামুদ্রিক সহযোগিতার কাঠামো গভীর করছে। যৌথভাবে ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ প্রতিষ্ঠা জোরদার করেছে।
ইন্দোনেশিয়ায় কনফুসিয়াস ইন্সটিটিউট
চীন ইন্দোনেশিয়ার বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। ২০২১ সালে দু’দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে।
কোভিড-১৯ মহামারিতে দু’দেশ পরস্পরকে সাহায্য করে আসছে। দু’দেশের নেতাদের মধ্যে বৈঠক ও আদান-প্রদান মহামারি প্রতিরোধ ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য শক্তিশালী চালিকাশক্তি যোগাচ্ছে। চীন সর্বপ্রথম ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে মহামারি প্রতিরোধ ও করোনার ওষুধ নিয়ে গবেষণা শুরু করেছে এবং দেশটিকে সর্বোচ্চ পরিমাণে ভ্যাকসিন প্রদান করেছে।
বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ার নানা স্থানে দেখা যাচ্ছে চীনের উপাদান। নতুন জ্বালানি-চালিত গাড়ি, দোকানপাটে চীনা ব্র্যান্ডের মোবাইল এবং দৈনন্দিন জীবনে আলিপেই দেশটিতে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
রাজধানী জাকার্তা থেকে বিখ্যাত সিটি বান্দুং পর্যন্ত ১৪২ কিলোমিটার রেলপথ ইন্দোনেশিয়ার প্রথম হাই-স্পীড রেলপথে পরিণত হয়েছে। এটি দেশটির ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগের প্রতীকী প্রকল্প। এ রেলপথ চালু হওয়ার পর স্থানীয় অধিবাসীদের জীবনের মান উন্নত করার পাশাপাশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
শুধু জাকার্তা-বান্দুং রেলপথ নয়, চীনের পেইতৌ ন্যাভিগেশন ব্যবস্থা ইন্দোনেশিয়ার ভূমি জরিপ এবং ম্যাপিং, মৎস্য, স্মার্ট সিটি উন্নয়নসহ নানা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে। সবুজ উন্নয়ন, ডিজিটাল রূপান্তর ও আঞ্চলিক অর্থনৈতিক করিডোর নির্মাণসহ নানা ক্ষেত্রে দু’দেশের পারস্পরিক সহযোগিতার সাফল্য দেখা দিয়েছে। এসব দু’দেশের উন্নয়নের বাস্তব সেতু বন্ধনে পরিণত হয়েছে।