বাংলা

পতিত জমি থেকে ‘খাদ্যের গুদাম’

CMGPublished: 2022-06-24 18:38:04
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

নয়া চীন প্রতিষ্ঠার সময়, দেশের সব কিছু উন্নত করা হয়। খাদ্যের অভাব ছিল একটি গুরুতর সমস্যা। তখন বেইতাহুয়াং-এর বিশাল জমিতে শস্য উত্পাদন করা ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।

নয়া চীনের কৃষিখাতের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ওয়াং চেন তখন অবসরপ্রাপ্ত সেনাদের বেইতাহুয়াংয়ে গিয়ে কৃষি খামার স্থাপনের প্রস্তাব দেন। যাতে বেশি করে শস্য উত্পাদন করা যায়। ১৯৫৫ সালের জানুয়ারি মাসে রেল সেনাবাহিনীর প্রথম কৃষি খামার- ‘৮৫০ কৃষি খামার’ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।

প্রথম বছরই সেনারা ৯৬.৩ বর্গকিলোমিটার আয়তনের পতিত জমি আবাদ করেছে। এই কৃষি খামারের কাজ সবার জন্য দারুণ এক অভিজ্ঞতা। ১৯৫৮ সালে এক লাখ অবসরে যাওয়া সেনা বেইতাহুয়াংয়ে এসে সেখানকার বড় আকারের নির্মাণকাজ দেখে দারুণ উচ্ছ্বসিত হন।

গত শতাব্দীর ৮০ দশকে, অনেক লোক নিজেই পারিবারিক কৃষি খামার তৈরি করার চেষ্টা করে। ক্য বাই লিন দম্পতি তাদের একটি উদাহরণ।

তিনি বলেন, পারিবারিক কৃষি খামার স্থাপন করার অর্থ হলো- উত্পাদনের সব ঝুঁকি নিজেই বহন করা। তখন আমি কারখানার প্রধান থেকে পদত্যাগ করে একটি পতিত জমি আবাদ করার সিদ্ধান্ত নেই। গাড়িতে থাকতাম, ক্ষেতে মাটি দিয়ে চুলা তৈরি করে রান্না করতাম, কাছের পুকুরের পানি পান করতাম।

তিন বছর পরিশ্রমের পর ক্য দম্পতি ৩৩৩ হেক্টর জমি আবাদ করে। তাদের মতো এক একটি স্বাধীন পারিবারিক কৃষি খামার দেশের খাদ্যশস্য উত্পাদনে বড় ভূমিকা পালন করেছে।

১৯৯৫ সালে বেইতাহুয়াং-এর শস্য উত্পাদনের পরিমাণ প্রথমবারের মত ৫ বিলিয়ন কেজি ছাড়িয়ে যায়। অনেক কষ্ট করে বেইতাহুয়াংয়ের মানুষ অবশেষে একটি সংস্কারের নতুন পথ খুঁজে পায়। ৭০ বছরেরও বেশি সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা অবসরপ্রাপ্ত সেনা, যুবক, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শিক্ষার্থী এই জমিতে কাজ করে এক একটি বিস্ময় সৃষ্টি করেছে।

首页上一页123全文 3 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn