সুন্দর প্রকৃতি চীনে বাঘের ঘরে ফিরতে সাহায্য করছে
চীনের রাষ্ট্রীয় বনজ ও তৃণভূমি ব্যুরোর উত্তর-পূর্ব বাঘ ও লেপার্ড তত্ত্বাবধান ও গবেষণা কেন্দ্রের উপ-পরিচালক ফেং লি মিন জানান, আমরা আবিষ্কার করেছি যে বাঘশাবক ও লেপার্ডশাবক বেঁচে থাকার হার দ্রুত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশ। মানে দু’টি শিশু বাঘ ও লেপার্ডের মধ্যে একটি প্রাপ্তবয়স্ক পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। তারা আরো দূরের জায়গায় যেতে পারে, নিজের দখল করা সার্কেল স্থাপন করতে পারে।
বিশ্বের বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলেও বাঘ ও লেপার্ড রক্ষা একটি কঠোর কাজ। উত্তর-পূর্ব টাইগারের বাসস্থান পুনর্নির্মাণে চীন কখনই প্রচেষ্টা বন্ধ করে নি। ২০১৭ সালে চীন উত্তর-পূর্ব বাঘ ও লেপার্ড রাষ্ট্রীয় উদ্যানের পরীক্ষামূলক কাজ শুরু হয়। তখন থেকে উদ্যান পরিচালনা ব্যুরো এবং চিলিন ও হেই লুং চিয়াং প্রদেশের সরকার যৌথভাবে কর্মব্যবস্থা স্থাপন করেছে, পরীক্ষামূলক কর্ম নিশ্চয়তা ব্যবস্থা গঠন করেছে। এর মাধ্যমে বাঘ ও লেপার্ড রক্ষায় সহায়ক চেষ্টা চালানো হয়েছে।
বিশ্ব প্রকৃতি তহবিলের বাঘ পরিকল্পনার প্রধান স্টুয়ার্ট চ্যাপম্যান বলেন, বুনো বাঘ রক্ষার ক্ষেত্রে, সবচেয়ে অসাধারণ এবং সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্যের অন্যতম হার, ২০১০ সালে চীন সরকার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বুনো টাইগারের সংখ্যা পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। চীন উত্তর-পূর্বাঞ্চলে দশ লাখ হেক্টরেরও বেশি আয়তনের বিশ্বের বৃহত্তম বাঘ সংরক্ষণ এলাকা স্থাপন করেছে।
প্রাকৃতিক সিস্টেম পুনরুদ্ধারের সঙ্গে সিকা হরিণ, বাদামি ভালুক, yellow-throated mink-সহ বিভিন্ন প্রাণী বনে দেখা যাচ্ছে। যা ফুড-চেইনের শীর্ষ থাকা উত্তর-পূর্ব টাইগারের জীবিত থাকা এবং বংশবৃদ্ধির জন্য শর্ত যুগিয়েছে।
ফেং লি মিন বলেন, এখানে বাঘ আছে, মানে এর পিছনে পূর্ণাঙ্গ ফুড-চেইন আছে। শুধু বাঘের জীবিত থাকা নয়, বরং এর পিছনে অনেক তৃণভোজী প্রাণী আছে। যা খুব সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য তৈরি করেছে এবং পুরো প্রাকৃতিক ব্যবস্থা স্বাস্থ্যকর।