এ চেয়ারে সবচেয়ে সম্মানিত অতিথিকে বসানো হয়
রানী মাথা নেড়ে হাসি মুখে বলেন, কম্বোডিয়া ও চীনের সম্পর্ক বড় ও ছোট দেশের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও সহযোগিতার প্রতীক। দুদেশের মৈত্রী কম্বোডিয়ার নানা মহলে সুপরিচিত এবং এটাকে বিচ্ছিন্ন করা যাবে না। কম্বোডিয়া চীনের সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করবে এবং দুদেশের জনগণের প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের মৈত্রী সম্প্রসারণ করতে ইচ্ছুক।
এ দিন সন্ধ্যায় রাজা শিহামনি দূর থেকে আসা সম্মানিত প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং'র জন্য সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। রাজ পরিবারের সকল সদস্য এবং মন্ত্রীসভার সকল সদস্য তাতে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের সময় ‘চীনকে স্মরণ’ শীর্ষক সুর বাজতে ছিল। তখন প্রাণবন্ত হল ক্ষণিকের জন্য শান্ত হয়েছে। ‘আমার..প্রিয় চীন, আমার মন পরিবর্তিত হয়নি। চিরদিন তোমাকে মিস করি…’। সাবেক রাজা শিহানৌকের নিজের হাতে সুর করা এ গান উপস্থিত সকলের মন জয় করেছে।
অতীতের কথা স্মরণ করে দেখা যায়, ১৯৫৮ সালে চীন ও কম্বোডিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে সাবেক রাজা শিহানৌক চীনের প্রবীণ নেতাদের সঙ্গে গভীর ও ঐতিহ্যবাহী মৈত্রী স্থাপন করেছেন। এ পর্যন্ত দুদেশের শীর্ষ নেতাদের আশাআকাঙ্খায় কম্বোডিয়ার রাজপরিবার চীনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আত্মীয়স্বজনের মতো দেখাশোনা এবং যাওয়া আসা করেন, যা দুদেশের সম্পর্কে নতুন প্রাণশক্তি যোগায়।
প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং নিজের হাতে রানীকে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের মৈত্রী পদক দিয়েছেন, যা অন্তরঙ্গ চীন-কম্বোডিয়া মৈত্রীর প্রতীক। প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের ‘রাষ্ট্র প্রশাসন’ শীর্ষক বইয়ে গভীর ও সুদূরপ্রসারী চেতনা এবং আবেগপূর্ণ সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে কম্বোডিয়ার জনগণের মন জয় করেছেন।