এ চেয়ারে সবচেয়ে সম্মানিত অতিথিকে বসানো হয়
২০১৬ সালের ১৩ অক্টোবর নমপেনের সুন্দর ও উষ্ণ আবহাওয়া ও নীল আকাশের ছায়ায় উজ্জ্বল রংয়ের চীন ও কম্বোডিয়ার জাতীয় পতাকা রাস্তাঘাটে টাঙ্গানো হয়েছে। হাজার হাজার লোক রাস্তায় নেমে কম্বোডিয়া সফররত চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংকে স্বাগত জানান। নমপেনে পৌঁছানোর দিনই প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং দেশটির আশি বছর বয়সী রানী নরোদম মনিনীথ শিহানৌককে দেখতে যান।
রাজা শিহানৌক জীবিত থাকার সময় যে চেয়ারে বসতেন, রানী প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংকে সে চেয়ারে বসান। তিনি বলেন, রাজা শিহানৌক মৃত্যুবরণের পর থেকে এ চেয়ারটিকে আগলে রেখেছে রাজ পরিবার। রাজা শিহানৌকের সবচেয়ে ছোট মেয়ে মুগ্ধ হয়ে বলেছেন,এবার রানী প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংকে সে চেয়ারে বসিয়ে দিয়েছেন। এভাবে সবচেয়ে সম্মানিত এবং কাছের অতিথিকে আপ্যায়ন করা হয়।
কম্বোডিয়ার রাজ পরিবার-বিষয়ক বিশেষজ্ঞ বলেন, সে চেয়ারে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংকে বসানোটা কম্বোডিয়ার সংস্কৃতিতে তাত্পর্যপূর্ণ। তাতে প্রতিফলিত হয়েছে, দুপক্ষ পরস্পরকে মনে রাখে এবং এ চেয়ারে বসা অতিথির দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা করে।
এ গভীর আবেগপূর্ণ ঘটনায় চীন-কম্বোডিয়া আন্তরিক ও সমৃদ্ধ মৈত্রী অনুভব করেছেন জনসাধারণ। রাজকুমারী আলেন স্মরণ করেন, চেয়ারে বসার সময় সি চিন পিং আবেগপূর্ণভাবে চীন-কম্বোডিয়া মৈত্রীর ইতিহাস স্মরণ করেছেন এবং কম্বোডিয়ার রাজ পরিবারের সঙ্গে চীনের গভীর মৈত্রী তুলে ধরেন। তিনি বলেন, শিহানৌক রাজা চীনের জনগণের দ্বারা সম্মানিত বন্ধু। তিনি চীন-কম্বোডিয়া মৈত্রীর প্রতীক। আমরা আশা করি, রানী ও বর্তমান রাজা নরোদম শিহামনি অব্যাহতভাবে চীনকে দ্বিতীয় জন্মস্থল হিসেবে গ্রহণ করবেন এবং চীন দেখতে আসবেন। চীন কম্বোডিয়ার সঙ্গে দুদেশের পূর্বপুরুষদের সৃষ্ট মৈত্রী ধারণ করে যাবে এবং চিরদিন পরস্পরের লৌহের মতো শক্ত বন্ধু হবে।