আকাশ ছুঁতে চাই ৮৪
বর্তমানে জেসি একটি বেসরকারি সংস্থায় ক্রিকেট কোচিং এবং ক্রিকেট বিষয়ক অনুষ্ঠান করেন। ক্রিকেট মাঠের বাইরে গিয়েও উপস্থাপনা করছেন, ক্রিকেট বিশ্লেষণ করছেন, ধারাভাষ্য দিচ্ছেন। এ ছাড়া কমেন্ট্রি বক্সেও ধারাভাষ্য দিয়েছেন ব্রেট লি, ব্রায়ান লারাদের মতো কিংবদন্তিদের পাশে বসে।
সম্প্রতি বাংলাদেশের পাঁচজন নারী ম্যাচ অফিশিয়ালকে ডেভেলপম্যান্ট প্যানেলে যুক্ত করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল। সাথিরা জাকির জেসি ছাড়াও রোকেয়া সুলতানা, ডলি রানি সরকার ও চম্পা চাকমা আম্পায়ার এবং ম্যাচ রেফারি হিসেবে সুপ্রিয়া রানী দাসও ওই প্যানেলে যুক্ত হয়েছেন।
প্রতিবেদন: শুভ আনোয়ার
সম্পাদনা: শান্তা মারিয়া
প্রিন্ট মেকিং শিল্পী লি ছ্যংচি
চীনের একটি অবৈষয়িক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হলো ছিচিয়াং ফারমার’স প্রিন্টমেকিং। এই কারুশিল্পের একজন প্রথম শ্রেণীর ইনহেরিটর লি ছ্যংচি। এই কারুশিল্পের চর্চার মাধ্যমে গ্রামের একজন দরিদ্র মেয়ে থেকে দেশ বরেণ্য শিল্পী হয়েছেন লি । কিভাবে? শুনবো সেই গল্প।
লি ছ্যংচি চীনের একজন প্রথম শ্রেণীর কারুশিল্পী। তিনি ছিচিয়াং ফারমারস প্রিন্টমেকিং অবৈষয়িক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একজন ধারক।
ছিচিয়াং ফারমার’স প্রিন্টমেকিং বা ছিচিয়াং কৃষকের ছাপচিত্র চীনের এক অনন্য অবৈষয়িক সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার। এই শিল্প ছোংছিং এর বিভিন্ন টাউনশিপের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য।
এই শিল্পের রয়েছে প্রায় একহাজার বছরের দীর্ঘ ঐতিহ্য। উড ব্লক বা কাঠের ব্লক প্রিন্টিং থেকে এর উদ্ভব। মিং ও ছিং রাজবংশের সময় এই শিল্প জনপ্রিয়তা পায় এবং নববর্ষের সময় এ ধরনের ছাপচিত্র ব্যবহৃত হতো। ১৯৮০র দশকে এই শিল্পকর্ম বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তা পায়। ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্যসহ চল্লিশটির বেশি দেশ ও অঞ্চলে এই শিল্পের প্রদর্শনী হয়।৬০টির বেশি আন্তর্জাতিক শিল্পীদল স্থানীয় আর্ট স্টুডিও পরিদর্শন করেন। আশির দশকে এই শিল্পের জন্য বিভিন্ন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
লি ছ্যংচির যখন ১৭ বছর বয়স তখন তিনি এমনি একটি কর্মশালায় যোগ দেয়ার সুযোগ পান।
সেসময় ছিচিয়াং কালচারাল সেন্টারের প্রধান ছিলেন লি ইলি নামের একজন নিবেদিতপ্রাণ শিল্পী। তিনি স্থানীয় কৃষকদের সাংস্কৃতিক জীবনমান উন্নয়নের জন্য ২০টি গ্রামীণ কালচারাল স্টেশন স্থাপন করেন এবং ছিচিয়াংয়ের ১০টি টাউনশিপে ফ্রি প্রিন্টমেকিং ক্লাস চালু করেন।
দরিদ্র কৃষককন্যা লি ছ্যংচি এরকম একটি ফ্রি ক্লাসে যোগ দেন। এর আগে তিনি সারাদিন ক্ষেতে খামারে কঠোর পরিশ্রম করেও সংসারের চাহিদা মেটাতে পারতেন না। প্রিন্ট মেকিংয়ে তিনি প্রতিভার পরিচয় দেন। দুই বছর প্রশিক্ষণের পর তিনি স্থানীয়ভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রথম ৩০০ কৃষক শিল্পীর একজন হওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেন।
এই কারুশিল্প থেকেই তার জীবনের গতি পালটে যায়।
১৯৯২ সালে তিনি প্রিন্ট মেকিং থেকে প্রথম রোজগার করেন। ২৫ ইউয়ান সম্মানী পেয়েছিলেন এলিমেন্টারি স্কুলের শিশুদের প্রিন্ট বানিয়ে। ওই বছর তিনি স্থানীয় একটি ফারমারস প্রিন্ট মেকিং ইন্সটিটিউটে চাকরি পান। বিয়ের পর তিনি শহরে বসবাস শুরু করেন।
ফারমারস প্রিন্ট মেকিং শিল্পের প্রতি তার আগ্রহ বাড়তে থাকে। তিনি অনুশীলন চালিয়ে যান। ২০০ প্রিন্ট মেকিং শিল্পকর্ম এবং হাজারের বেশি হাতে আঁকা ছবি তৈরি করেন। ২০১০ সালে তিনি লি ছ্যংচি চায়না ফেডারেশন অব লিটেরারি অ্যান্ড আর্ট কাউন্সিল এবং চায়না আর্টিস্ট অ্যসোসিয়েশনের সেরা দশ লোকশিল্পীর সম্মান পান।