আকাশ ছুঁতে চাই ৬৪
লিউ ইফাং বলেন, একজন দোভাষী হিসেবে আমাকে সব সময় সাইটে যেতে হয়। সাইটের ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতে হয়।
চীনা ও বাংলাদেশি মিলেমিশে কাজ করার যে উদাহরণ তৈরি করেছে সিআরইসি, সেখানে লিউ ইফাংও একজন। তবে শুরুর দিকে নিজ দেশের বাইরে ভিন্ন একটি দেশে কাজ করার যে ভয় লিউ ইফাংয়ের মধ্যে ছিল, তা ভিত্তিহীন হওয়ায় হেসে উড়িয়ে দিচ্ছেন এই নারী।
কেননা বাংলাদেশিদের ব্যবহার , কথা বলার ধরণ মুগ্ধ করেছে তাকে। এখন সবাই যেন তার বন্ধু।
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যখন আমি বাংলাদেশে প্রথম আসি তখন একটু দুঃশ্চিন্তায় ছিলাম। দেশের বাইরে এটাই আমার প্রথম কাজ। আমার ভয় ছিল স্থানীয়রা কেমন হবে, যখন আমি বাংলাদেশে এলাম, দেখলাম স্থানীয়রা বেশ বন্ধুসুলভ। যখন আমি বাইরে যাই তারা খুব সাহায্য করে, তারা খুব উদ্যমী।
দিন যত যাচ্ছে বাঙ্গালিদের সঙ্গে বন্ধুত্ব বাড়ছে লিউ ইফাংয়ের। আর স্মৃতিতে জায়গা করে নিচ্ছে মজার মজার অভিজ্ঞতা।
মধুময় স্মৃতির কথা স্মরণ করতে গিয়ে লিউ ইফাং বলেন, প্রতিবছর এখানকার কর্মীরা অনেক আম নিয়ে আসে অফিসে। একদিন আমি বাইরে থেকে অফিসে এসে দরজা খুলে তো অবাক। অনেকগুলো আম । আমি এখানকার পরিবেশ, খাবার ও মানুষদের খুব পছন্দ করি। তাদের কারণেই আমার মনে হয়, সিআরইসি আমার বাড়ি।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে লিউ ইফাং নিজেকে মানিয়ে নিয়েছেন বাংলাদেশে। বাংলাদেশিদের খাবার, সংস্কৃতি , ঐতিহ্যকে সঙ্গী করে এগিয়ে চলেছেন এই নারী।
প্রতিবেদন- আফরিন মিম
সম্পাদনা- শান্তা মারিয়া
ভূমিদাসী থেকে মুক্ত জীবনে
চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল সিচাং বা তিব্বত। ১৯৫৯ সালের ২৮ মার্চ ছিল সিচাং বা তিব্বতবাসীর জন্য এক অনন্য আনন্দের দিন। এদিন সিচাং এর ১০ লাখের বেশি ভূমিদাস (সার্ফ) দাসত্ব থেকে মুক্তি পেয়ে নতুন জীবনে প্রবেশ করেন।
শত শত বছর ধরে তিব্বতে দাসত্ব প্রথা ছিল। ১৯৪৯ সালে চীনের মহান সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের ফলশ্রুতিতে ১৯৫৯ সালের ২৮ মার্চ স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল সিচাংয়ের দশ লাখের বেশি ভূমিদাসের মুক্তি ঘটে। ২০০৯ সালে আঞ্চলিক আইনসভা ২৮ মার্চকে ১০ লাখ ভূমিদাসের মুক্তি দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়।
১৯৫৯ সালের পর তিব্বতের অসংখ্য মানুষ ভূমিদাসত্ব থেকে মুক্তি পেয়ে নতুন জীবনের আস্বাদ পান। এমনি একজন নারীর গল্প শুনবো প্রতিবেদনে।