বাংলা

আকাশ ছুঁতে চাই ৫২

CMGPublished: 2024-01-11 17:18:54
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

ছিন একা নয়। গত এক দশকে অনেক মেয়ে শাংহাই এর থোংচি ইউনিভারসিটি এবং বেইজিং স্পোর্টস ইউনিভারসিটিতে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে এই ফুটবল খেলার কারণে।

এই গ্রামের কিশোরীদের জীবন পরিবর্তনের যাত্রা শুরু হয় ২০১৩ সালে। সেসময় সানহ্য টাউন প্রাইমারি স্কুলের প্রিন্সিপাল ছিলেন সুন সিয়াওমিং। তিনি মেয়েদের ফুটবল টিম গড়ে তোলার উদ্যোগ নেন। তিনি চিন্তা করেন এই টিমের মাধ্যমে প্রিাইমারি স্কুলের মেয়েরা খেলাধুলায় এগিয়ে আসবে এবং নিজেওেদর জীবনের একটা নতুন গতি অর্জন করবে। তিনি নিজেও ছিলেন শরীরচর্চার শিক্ষক। তিনি তার স্কুলের শিশুদের খেলাধুলায় উৎসাহ দিতে থাকেন।

তবে অভিভাবকদের বুঝাতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। কারণ তারা ভাবতেন ফুটবল মেয়েদের খেলা নয়। এই পশ্চাৎপদ ধারণা থেকে তাদের বের করে আনেন সুন।

তবে সেসময় ভালো প্রশিক্ষক ছিল না। মা ছিংলিন নামে একটি মেয়ে বেশ ভালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছিল। তাই মা ছিংলিনকে পাঠানো হয় বড় শহরে প্রশিক্ষণের জন্য। মা ছিংলিন ভালো ফলাফল করে ছোংছিংয়ের একটি মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তির জন্য বৃত্তি পায়। ২০১৩ সালে ২০জন ছাত্রী নিয়ে গড়ে ওঠে প্রাইমারি স্কুলের মেয়েদের টিম।

২০১৫ সালে ছিন ছোংছিং ক্যাম্পাসে ফুটবল লিগে ভালো ফলাফল করে। ছিন এর টিম চ্যাম্পিয়নশিপ অর্জন করে।

এরপর থেকে সানহ্য টাউন প্রাইমারি স্কুলের ফুটবল টিমের মেয়েরা অনুপ্রাণিত হন। তারা তাদের স্বপ্নজয়ের পথে এগিয়ে যান ফুটবলের সেতু ধরে। গত একদশকে এই টিমের মেয়েরা পৌছে গেছেন বিভিন্ন বড় বিশ্ববিদ্যলয়ে। নতুন যারা এসেছে তারাও একই ধরনের স্বপ্নকে লালন করে চলেছে।

প্রতিবেদন: শান্তা মারিয়া

সম্পাদনা: রহমান

সুপ্রিয় শ্রোতা আকাশ ছুঁতে চাই অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে পৌছে গেছি আমরা।

অনুষ্ঠানটি কেমন লাগছে সে বিষয়ে জানাতে পারেন আমাদের কাছে। আপনাদের যে কোন পরামর্শ, মতামত সাদরে গৃহীত হবে। আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি আমি শান্তা মারিয়া। আবার কথা হবে আগামি সপ্তাহে। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। চাই চিয়েন।

সার্বিক সম্পাদনা : ইয়ু কুয়াং ইউয়ে আনন্দী

লেখা, গ্রন্থনা ও উপস্থাপনা: শান্তা মারিয়া

কণ্ঠ: শান্তা মারিয়া, শুভ আনোয়ার, আফরিন মিম

অডিও সম্পাদনা: রফিক বিপুল

首页上一页123 3

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn