আকাশ ছুঁতে চাই ২০
দুই দেশের নারীর মধ্যেই চেষ্টার একটা মিল আছে বলেও মন্তব্য করেন হংমেই লি।
সাক্ষাৎকার গ্রহণ: রওজায়ে জাবিদা ঐশী
সম্পাদনা: শান্তা মারিয়া
অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে নারীর শক্তি
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে নারীর অগ্রযাত্রা অবদান রাখছে চীনের সামগ্রিক উন্নয়নে। বৈশ্বিক টেকসই উন্নয়নেও অবদান রাখছেন নারী বিজ্ঞানীরা। এসব কথাই উঠে আসে বেইজিংয়ের চোং কুয়ান ছুন ফোরামের মধ্যে আয়োজিত নারীদের বিশেষ ফোরামে। এই বিশেষ ফোরামের প্রতিপাদ্য ছিল ‘অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে নারীর শক্তি’। এই ফোরামে বিশ্বের অনেক শীর্ষ পর্যায়ের নারী বিজ্ঞানী অংশ নিয়েছেন। ফোরামটি সম্পর্কে বিস্তারিত শুনবেন প্রতিবেদনে।
অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে নারীর শক্তি এই প্রতিপাদ্য নিয়ে বেইজিংয়ে চোং কুয়ান ছুন ফোরামে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয় নারীদের বিশেষ ফোরাম। চীনের জাতীয় রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয় উইমেনস ফেডারেশনের চেয়ারম্যান শেন ইউয়ে ইউয়ে ফোরামে উপস্থিত ছিলেন ও ভাষণ দিয়েছেন।
ভাষণে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং জোর দিয়ে বলেছেন, উচ্চ মানের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত স্ব-নির্ভরতা চীনা বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকায়নের মূল চাবিকাঠি। তিনি আশা করেন, চীনের নারী বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত ব্যক্তিরা প্রেসিডেন্ট সির উত্থাপিত চেতনা বাস্তবায়ন করবে, কঠিন সমস্যা সমাধান, গবেষণা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় ভূমিকা পালন করবে এবং মানবজাতির অভিন্ন লক্ষ্যের কমিউনিটি প্রতিষ্ঠা ও বৈশ্বিক টেকসই উন্নয়নের জন্য অবদান রাখবে।
দেশ-বিদেশের অনেক শীর্ষস্থানীয় নারী বিজ্ঞানী এতে বক্তৃতা দিয়েছেন, গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিয়েছেন এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প প্রকাশ করেছেন।
বয়স কোনো বাধা নয়
মানুষের জীবনে কোন কিছু শেখার বা জানার আগ্রহের কোন শেষ নেই। কিন্তু অনেক সময় মনে হতে পারে অনেক বয়স বেড়ে গেছে এখন আর এই বিষয়টি শেখা সম্ভব নয়। এই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করেছেন একজন প্রাণশক্তিতে শক্তিময়ী নারী। তিনি প্রমাণ করেছেন বয়স কোন বাধা নয়। এই উদ্যমী নারীর নাম চেন শাওছিন। তিনি প্রবীণ বয়সেও তরুণদের মতো সমান উদ্দীপনা নিয়ে এগিয়ে চলছেন যা অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণা বয়ে এনেছে।
চলুন শোনা যাক তার গল্প।
বেইজিংয়ের নারী চেন শাওছিন। বয়স তার ৭৩ বছর। তিনি তার সংগ্রামী জীবনের মাধ্যমে অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়েছেন। তরুণ বয়সে চেন শাওছিনের শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল মিডল স্কুল অবধি। তিনি ছিলেন বেইজিংয়ের একটি কারখানার শ্রমিক। তিনি চেয়েছিলেন আরও উন্নতি করতে। কিভাবে হোয়াইট কলার জব পাওয়া যায় সে চেষ্টা করতে থাকেন তিনি। এরপর তার মনে হয় চাকরিতে পদোন্নতির জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা বাড়াতে হবে, ইংরেজিভাষাটাও শিখতে হবে।
৪০ বছর বয়সে তিনি ইংরেজিভাষা শিখতে শুরু করেন। সেই বয়সে নতুন করে আবার কলেজে প্রবেশের পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে থাকেন। কলেজে ভর্তিও হতে পারেন নিজের অক্লান্ত চেষ্টার ফলে।