আকাশ ছুঁতে চাই ১১
শৈশব থেকেই প্রাচীন এতিহাসিক নিদর্শন ও গ্রন্থের প্রতি আকর্ষণ ছিল সংয়ের। তিনি স্বপ্ন দেখতেন বড় হয়ে ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো রক্ষা করবেন।
তিনি বলেন, আমার খুব অবাক লাগতো কিভাবে মাটির নিচ থেকে ধূসর হয়ে যাওয়া ভঙ্গুর সব মূল্যবান নিদর্শন উদ্ধার করা হয়।
ইতিহাসের প্রতি স্কুল জীবন থেকেই তার আগ্রহ ছিল প্রচুর। সং তার অবসর সময়ে ঘন্টার পর ঘন্টা মিউজিয়ামে থাকতেন এবং এ বিষয়ক বই পড়তেন।
২০১৫ সালে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন করেন সং। তার বিষয় ছিল সাংস্কৃতিক নিদর্শন সুরক্ষা। এরপর তিনি প্রাচীন গ্রন্থ সুরক্ষার উপর বিশেভাবে শিক্ষাগ্রহণ করেন। সং ১০০টি সাংস্কৃতিক নিদর্শন রেসটোরেশনের কাজ করেছেন। যার মধ্যে আছে ছিং রাজবংশের সম্রাট ছিয়ানলোং এবং সম্রাজ্ঞী তোয়াকার সিশির লেখা।
সং এবং তার সহকর্মীরা চীনা ইতিহাসের অমূল্য নিদর্শনগুলো সংরক্ষণ করছেন। সং প্রাচীন বইকে নতুনভাবে গড়ে তোলেন। পাশাপাশি তিনি এ বিষয়ক প্রশিক্ষণও দিয়ে থাকেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তিনি এ বিষয়ে বক্তব্যও রাখেন। তিনি মনে করেন আগামিতে তরুণ প্রজন্ম এই পেশায় আসতে পারে। প্রাচীন গ্রন্থ ও নথিপত্র সংরক্ষণের মাধ্যমে চীনের সাংস্কৃতিক নিদর্শন ও এীতহ্য সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন সং চিং।
নারী প্রত্নতাত্ত্বিক দল
সকাল সন্ধ্যা মাটি খননের কাজে ব্যস্ত একদল প্রত্নতাত্ত্বিক নারী। দক্ষিণ পশ্চিম চীনের ছোংছিং মিউনিসিপাল্টিতে প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের খোজে এভাবেই দিন রাত কাজ করছেন তারা। এই সময়গুলোতে দলের সবার সময় কাটে একসাথে। খাওয়া ,ঘুম ও মাঠে কাজ করা নির্দিষ্ট নিয়মের মধ্যে চলতে থাকে। সম্প্রতি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন আবিষ্কারের অনেকটা পথ এগিয়ে এসেছেন তারা। আবহাওয়ার পরিবর্তন সহজ করে দিয়েছে তাদের কাজ। এই নারী প্রত্নতাত্ত্বিক দলের কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত শুনবো আফরিন মিমের প্রতিবেদনে।
প্রত্নতত্ত্ব ইনস্টিটিউটের নারী প্রত্নতাত্ত্বিক দলের নেতা ইয়ান নি। একদল নারী প্রত্নতাত্ত্বিক সহকর্মীকে নিয়ে পরিচালনা করছেন ধ্বংসাবশেষ খুঁজে বের করার কাজ।
দক্ষিণ পশ্চিম চীনের ছোংছিং মিউনিসিপাল্টিতে প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের খোজেই সকাল থেকে সন্ধ্যা কাটছে এই দলের।