আকাশ ছুঁতে চাই ৯
চীন রাষ্ট্রীয়ভাবে নারী-পুরুষ সমতাকে উৎসাহিত করে উল্লেখ করে লিন ই বলেন, একইসঙ্গে চীন নারীদের ক্ষমতায়নের ব্যাপারেও ভূমিকা পালন করে। চীনের অন্তত ৪০ মিলিয়ন নারীর জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, ডিজিটাল অর্থনীতিসহ নানা ক্ষেত্রে ৫৭ মিলিয়ন চাকরির সুযোগ তৈরি হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, চীনের আধুনিকায়নের লক্ষ্যে চীনা নারীদের জীবনমান উন্নয়নে বিরাট পরিবর্তন সূচিত হয়েছে।
সব বাধাকে জয় করলেন চাং জুনলি
কয়েক দশক ধরে বিছানায় শুয়েই ছবি আঁকছেন পয়তাল্লিশ বছর বয়সী চাং জুনলি। শুয়েশুয়েই একেছেন পাঁচ শতাধিক ছবি। ছয় বছর বয়সে আর্থাইটিস রোগের কারণে প্রতিবন্ধিতা হয় তার সঙ্গী । শারীরিক অসুস্থতার মধ্যেই এঁকে চলেছেন এই নারী। প্রতিবন্ধকতাকে পিছনে ফেলে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া এই নারী দেখিয়েছেন আগ্রহ ও ইচ্ছাশক্তিতেই এগিয়ে যাওয়া যায় অনেকদূর। চাং জুনলিকে নিয়ে আরও বিস্তারিত শুনবো আফরিন মিমের প্রতিবেদনে।
বিছানায় শুয়ে রঙ তুলিতে আঁকছেন ছবি। এক এক করে পাঁচশ’র বেশি ছবি বিছানায় শুয়েই এঁকে শেষ করেছেন তিনি। বলছিলাম উত্তর চীনের শানসি প্রদেশের থাইয়ুয়ান শহরের পয়তাল্লিশ বছর বয়সী চাং জুনলির কথা।
চাং জুনলি একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী নারী। মাত্র ছয় বছর বয়সে আর্থাইটিস রোগের শিকার হোন তিনি। এরপর আট বছর বয়স থেকে হারান চলাচল করার ক্ষমতা। এরপর শুরু হয় তার কঠিন সময়।
ছোটবেলা থেকেই আঁকাআকির প্রতি নেশা ছিল চাংয়ের। ছোটবেলার সেই স্বপ্নকে হারতে দিতে চাননি তিনি। দীর্ঘদিনের লালিত ইচ্ছাকে বিছানায় শুয়েই বাস্তবায়ন করেছেন ।
নিজের কল্পনার জগতের অনেক কিছু ফুটিয়ে তোলেন তার আঁকা ছবিতে। নিজের আঁকা ছবির মাধ্যমে হারিয়ে যান সেসব স্থানে। তিনি বলেন, "আমি সুন্দর জিনিস পছন্দ করি -- সুন্দর দৃশ্য, ফুল, ঘাস এবং যা আমার হৃদয়কে স্পর্শ করতে পারে। যেখানে আমি কখনোই যেতে পারিনি ,সেসব জায়গাকে ক্যানভাসে আঁকি। এটি আমার ব্রাশের মতো ক্যানভাসের উপর দিয়ে আমাকে ভ্রমণে নিয়ে যায়, " ।
নিজ শহরের লাইব্রেরিতে নিজের আঁকা ছবির প্রদর্শনী করেছেন চাং। যেখানে চাংয়ে আঁকা ৮০টি ছবি স্থান পায় । সেসব ছবির ভাষা মুগ্ধ করে দর্শনার্থীদের।
শারীরিক অসুস্থতার জন্য নিয়মিত চিকিৎসার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন চাং। প্রচন্ড শারিরীক ব্যথাতেও ছবি আঁকা বন্ধ করেননি তিনি। আত্মবিশ্বাস ও সাহস নিয়ে নারীদের এগিয়ে যাওয়ার অন্যতম উদাহরণ এই চাং জুনলি।
সুপ্রিয় শ্রোতা আকাশ ছুঁতে চাই অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে পৌছে গেছি আমরা।
অনুষ্ঠানটি কেমন লাগছে সে বিষয়ে জানাতে পারেন আমাদের কাছে। আপনাদের যে কোন পরামর্শ, মতামত সাদরে গৃহীত হবে। বিশ্ব নারী দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি আমি শান্তা মারিয়া। আবার কথা হবে আগামি সপ্তাহে। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। চাই চিয়েন।
সার্বিক সম্পাদনা : ইয়ু কুয়াং ইউয়ে আনন্দী
লেখা, গ্রন্থনা ও উপস্থাপনা: শান্তা মারিয়া