আকাশ ছুঁতে চাই -- ১
চীনের ৫৬ জাতিগোষ্ঠীর অন্যতম মিয়াও জাতি। মিয়াও জাতির রয়েছে সমৃদ্ধ ঐতিহ্য। মিয়াও নারীরা অনেক রকম হাতের কাজ জানেন। তারা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে পৌছে দেন এইসব কারুশিল্প। এম নি একজন ঐতিহ্যের ধারক নারী ইয়াং আরবাওলাং। তিনি মিয়াও জাতির বিশেষ কারুশিল্প মোমবাটিকের একজন দক্ষ শিল্পী। এই শিল্পের মাধ্যমে তিনি অবস্থার উন্নয়নও ঘটিয়েছেন।
চীনের কুইচোও প্রদেশের মিয়াও স্বায়ত্তশাসিত প্রিফেকচার তানচাইতে বাস করেন আরবাওলাং। শৈশবে মা ও দাদী নানীর কাছ থেকে তিনি মোম বাটিকের কাজ শেখেন। সব মিয়াও নারীরাই কমবেশি এই শিল্পকর্মটি জানে।
একসময় আরবাওলাং চিন্তা করেন এই ঐতিহ্যবাহী শিল্পকে ব্যবহার করে তিনি ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিবেন। ২০১৪ সালে তিনি নারীদের নিয়ে একটি সমবায় সমিতি গঠন করেন। এই সমিতি থেকে তারা মোবাটিকে রং করা বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি ও বিপণন করতে থাকেন।
স্থানীয় সরকার তাকে এ বিষয়ে সহায়তা দেয়। মিয়াও জাতির মানুষ মোমবাটিকের যেসব ঐতিহ্যবাহী সামগ্রী ব্যবহার করে সেগুলোর পাশাপাশি তিনি আধুনিক শহুরে জীবনে ব্যবহার্য সামগ্রীও তৈরি করতে শুরু করেন এই বাটিক কাপড় দিয়ে। লেডিস ব্যাগ, বেডকভার, কুশনকাভার, ল্যাম্পশেড ইত্যাদি তৈরি করেন মিয়াও নকশার বাটিক কাপড়ে।
বর্তমানে আরবাওলাংয়ের কারখানার আয়তন ৫০০ বর্মিটার। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শুধু তার নিজের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিই আসেনি, বরং তার গ্রামের অন্য পরিবারগুলোও স্বচ্ছলতার মুখ দেখেছে। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে ব্যবহার করে চীনের দারিদ্র্যবিমোচন সাফল্যে এভাবেই নিজের অবদান রেখেছেন মিয়াও জাতির উদ্যমী নারী আরবাওলাং।
চীনা নববর্ষ পালনে লাওসের নারীরা
চীনা নববর্ষকে সামনে রেখে এক মজার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় লাওসের ভিয়েনতিয়েনে অবস্থিত চায়না কালচারাল সেন্টারে। এখানে অনেক নারী ডাম্পলিং বানিয়ে উৎসব পালন করেন। বিস্তারিত বলছেন হোসনে মোবারক সৌরভ