আকাশ ছুঁতে চাই পর্ব ৯৬
এই শিক্ষকের নাম হুয়াং চুনছিয়ং। তিনি চীনের কুইচোও প্রদেশের চেনইউয়ান কাউন্টির চিয়ানকু টাউনের বাসিন্দা। এই ছোট্ট শহরের সেন্ট্রাল এলিমেন্টারি স্কুলের শিক্ষক তিনি। বলেন, ‘আমি বড় হয়েছি গ্রামে। আমার বাবা ছিলেন গ্রামের শিক্ষক। আমি ছোটবেলা থেকে গ্রামের শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন দেখেছি।’
১৯৯২ সালে গ্র্যাজুয়েশনের পর তিনি বড় শহরে ভালো বেতনে কাজের সুযোগ পান। কিন্তু তিনি ফিরে আসেন হোমটাউনে। এখানে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকতার ভার নেন।
তিনি ত্রিশ বছর ধরে কাজ করছেন। এখানকার অনেক ছাত্রছাত্রী তার অনুপ্রেরণায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে বড় বড় শহরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
তাদের সকলের কাছেই তিনি মায়ের মতো। তিনি ক্লাসে ও ক্লাসের ফাঁকে মায়ের মতো যত্ন নিয়ে শিশুদের দেখাশোনা করেন। তাদের শিক্ষা গ্রহণকে আনন্দময় করে তোলেন। শিশুরাও একবাক্যে বলে, ‘তিনি একজন সেরা শিক্ষক।’
২০১৬ সালে তিনি প্রাথমিক শিক্ষকদের দক্ষতা উন্নয়নে ওয়ার্কশপের আয়োজন করেন। তিনি গ্রামশিক্ষকদের জন্য একটি প্লাটফর্মও প্রতিষ্ঠা করেছেন। এর মাধ্যমে শিক্ষকরা পরষ্পরের সঙ্গে অভিজ্ঞতার বিনিময় করতে পারেন। নিজেদের দক্ষতার উন্নয়নও করতে পারেন।
পেশাদার বক্সিংয়ে শুরু হলো নারীর জয়যাত্রা
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো পেশাদার বক্সিংয়ে নারীর অংশগ্রহণ শুরু হলো। সম্প্রতি বাংলাদেশ বক্সিং ফেডারেশনের উদ্যোগে নারীদের জন্য পেশাদার বক্সিংয়ের আয়োজন করা হয় ঢাকার পল্টনে মোহাম্মদ আলী বক্সিং স্টেডিয়ামে। এর আগে বক্সিং ফেডারেশন আরও দুটি পেশাদার বক্সিং আসর বসিয়েছিল। কিন্তু সে দুটি ছিল পুরুষদের। এই সপ্তাহেই প্রথম নারীদের জন্য পেশাদার বক্সিং আয়োজিত হয়। বাংলাদেশের প্রথম দুই পেশাদার নারী বক্সার শামীমা আক্তার ও সানিয়া সুলতানা রিংয়ে নামেন। সানিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হন শামীমা।
শামীমা আক্তার ২০১২ সাল থেকে বক্সিং করছেন। ২০১৪ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত তিনি টানা জাতীয় প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হন।
জাতীয় প্রতিযোগিতা, আন্তসার্ভিস, বাংলাদেশ গেমসসহ অন্যান্য ঘরোয়া টুর্নামেন্টে ৫১ কেজি ওজন শ্রেণিতে ৭ বার হয়েছেন চ্যাম্পিয়ন।