আকাশ ছুঁতে চাই পর্ব ৯৩
আফরিন সুলতানা বীমা প্রতিষ্ঠানে যোগ দেন প্রায় বিশ বছর আগে। তখন নারীর সংখ্যা কিছুটা কম থাকলেও বর্তমানে এই পেশায় অনেক নারী কাজ করছেন। ন্যাশনাল লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানিতেই রয়েছেন ২০ হাজার নারী বীমা কর্মী। বাংলাদেশের অন্যান্য বীমা প্রতিষ্ঠানেও প্রচুর সংখ্যক নারী কাজ করছেন।
আফরিন সুলতানা মনে করেন নারীর জন্য খুব স্বাধীন ও সম্মানজনক পেশা হলো বীমা পেশা। এই পেশায় বাঁধাধরা কর্মঘন্টা না থাকায় অন্য কাজের পাশাপাশি এটা করা সম্ভব। শিক্ষর্থীরা অনেকে এই পেশায় কাজ করে সাফল্য পাচ্ছেন। নতুন যারা এই পেশায় আসবেন তাদের জন্য আফরিনের পরামর্শ হলো আত্মবিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে যাবার।
গান: শিল্পী না ইং
চীনের একজন বিখ্যাত শিল্পী না ইং। ১৯৬৭ সালে লিয়াওনিং প্রদেশে জন্ম নেয়া এই শিল্পী ১৯৭৯ সাল থেকেই একজন কিশোরী কণ্ঠশিল্পী হিসেবে জনপ্রিয়তা পান।
১৯৯৪ সালে তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘ড্রিমিং উইথ ইউ’ বা ‘তোমার সঙ্গে স্বপ্ন’ মুক্তি পায়। ১৯৯৮ সালে তিনি সিসিটিভির স্প্রিং ফেস্টিভ্যাল গালা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান। না ইং দেশে বিদেশে অনেক সম্মাননা পেয়েছেন। চলুন শোনা যাক এই শিল্পীর কণ্ঠে একটি গান।
ভেষজ চাষে কর্মসংস্থান হচ্ছে নারীর
চীনে অনেক ভেষজ উদ্ভিদ রয়েছে। এসব ভেষজ উদ্ভিদের চাষ করেও অনেকে নিজের আয় বৃদ্ধি করছেন। এমন একটি ভেষজ হলো হানি সাকেল।
এই হানি সাকেলের খামারে কাজ করে অনেক গ্রামীণ গৃহবধূ ও প্রবীণ নারী নিজেদের আয় বৃদ্ধির পথ করে নিয়েছেন। বিস্তারিত প্রতিবেদনে।
মধ্য চীনের হ্যনান প্রদেশ। এখানে প্রচুর পরিমাণে হানি সাকেল ফুল জন্মে। সিনসিয়াং সিটির ফংছিউ কাউন্টির চিয়াছুয়াং গ্রামের হানি সাকেল বিখ্যাত। এর চীনা নাম চিনইনহুয়া। যার মানে সোনালি ও রুপালি ফুল।
হানি সাকেল ট্র্যাডিশনাল চায়নিজ মেডিসিন তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এই ফুলের চা ও অন্যান্য পানীয়র চাহিদাও রয়েছে। এর ডাল নতুন চারা তৈরিতে ব্যবহার হয়। হানি সাকেলের পাতা থেকে গবাদি পশুর ঔষধ তৈরি হয়। হানি সাকেলের চাষের ফলে স্থানীয় অধিবাসীরা কাজ পেয়েছে। বিশেষ করে প্রবীণ নারী এবং গৃহবধূরা এই খামারে বেশি কাজ করছেন। গৃহবধূরা তাদের দৈনন্দিন গৃহকর্ম করেও এই খামারে কাজ করতে পারছেন। চিয়াং ছিংমেই এমন একজন নারী। তিনি বলেন, ‘আমি বাড়ির কাছেই কাজ পেয়েছি। এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত ৫হাজার ইউয়ানের বেশি আয় করেছি। এখান থেকে বছরে ১০ হাজার ইউয়ানের বেশি আয় করতে পারছি।’