আকাশ ছুঁতে চাই পর্ব ৭৭
দীর্ঘ কয়েক মাস প্রশিক্ষণ নেয়ার পর এত নিপুণভাবে নাঁচতে শিখেছেন তারা। কিন্তু দেখে বোঝার উপায় নেই এসব নৃত্যশিল্পীদের অধিকাংশই শ্রবণ প্রতিবন্ধী।
তাদের প্রশিক্ষক জিং স্যিয়াও মিয়াও। গ্রাজুয়েশন শেষ করে চীনা প্রতিবন্ধীদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে তিনি কাজ শুরু করেছেন বেইজিংয়ে। তার টিমে রয়েছেন শতাধিক শিল্পী। জিং সাধারণত তাদের সঙ্গে কথা বলেন সাংকেতিক ভাষায়। তাদের ধারণা দেন নাচের বিভিন্ন ভঙ্গিমা সম্পর্কে।
এসব শিল্পীদের সঙ্গে সময় কাটাতে ভীষণ পছন্দ করেন তিনি। জিং বলেন, এই কাজের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন গভীর ভালোবাসা আর অসীম ধৈর্য।
কোরিওগ্রাফিতে সবচেয়ে কঠিন অংশ হলো একই ছন্দে থাকা। শ্বাস-প্রশ্বাস থেকে শুরু করে নাচের নানান ভঙ্গিমা সব কিছুই হতে হয় একই কম্পাঙ্কে।
এই নাচের নামটা একটু কঠিন ‘থাওসেন্ড হ্যান্ড কোয়ান ইন। চীনারা এই ক্লাসিক নাচ মুগ্ধ হয়ে দেখেন। কিন্তু মঞ্চের সামনে বসে থাকা ব্যক্তিদের কারোরই বোঝার উপায় নেই এই শিল্পীরা শ্রবণ প্রতিবন্ধী।
২০২২ সালের মার্চে অনুষ্ঠিত হওয়া বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন করেন জিং স্যিয়াও মিয়াও।
জিং মনে করেন, সবার মধ্যেই লুকিয়ে থাকে অসাধারণ সব প্রতিভা। ধৈর্যের সাথে লেগে থাকলে এসব প্রতিভার বিকাশ ঘটানো সম্ভব।
গান : শিল্পী হান হং
চীনের একজন তারকা সংগীতশিল্পী ও গীতিকার হলেন হান হং। তিনি হান এবং তিব্বতি জাতিসত্তার ধারা বহন করছেন উত্তরাধিকার সূত্রে। চীনের লোকজ সংগীতে তিনি পারদর্শী। পাশাপাশি আধুনক পাশ্চাত্যধারার গানেও সমান জনপ্রিয়। তিব্বতি রেঅকজ সংগীতে তার জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। ১৯৭১ সালে জন্মগ্রহণকারী হান হং ১৯৯৩ সাল থেকে জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেন। তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক সম্মাননা ও খ্যাতি পেয়েছেন। এখন শুনবো শিল্পী হান হংয়ের কণ্ঠে একটি গান।
সুপ্রিয় শ্রোতা আপনারা শুনছেন চীন আন্তর্জাতিক বেতারের অনুষ্ঠান আকাশ ছুঁতে চাই। চীনে মাতৃকল্যাণমূলক বিভিন্ন সফল কর্মসূচীর কারণে গত এক দশকে প্রসূতি ও শিশু স্বাস্থ্যে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে, রেকর্ড পর্যায়ে কমেছে মাতৃমৃত্যু ও শিশু মৃত্যুর হার। বিস্তারিত প্রতিবেদনে।
মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যুর হার রেকর্ড পর্যায়ে নেমে এসেছে চীনে
চীনে মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার দুটিই রেকর্ড পর্যায়ে নেমে এসেছে। দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছে।