আকাশ ছুঁতে চাই ৭৫
ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত বিদ্যা সিনহা মিম
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা সাহা মীম বাংলাদেশে ইউনিসেফের নতুন জাতীয় শুভেচ্ছা দূত হিসেবে যোগ দিয়েছেন। একজন জাতীয় শুভেচ্ছা দূত হিসেবে মীম সারা বিশ্বের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে যুক্ত হলেন, যারা নিজেদের জনপ্রিয়তা ও জোরালো কণ্ঠস্বর কাজে লাগিয়ে শিশু অধিকার রক্ষায় কাজ করছেন।
প্রতিটি শিশুর অধিকার ও সার্বিক কল্যাণের সঙ্গে যুক্ত থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহিংসতা, শিশুশ্রম ও বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শিশু তহবিল-ইউনিসেফের নবনিযুক্ত জাতীয় শুভেচ্ছাদূত মডেল ও অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা সাহা মিম।
ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হওয়ার মধ্য দিয়ে জনপ্রিয়তা আর জোরালো কণ্ঠস্বর কাজে লাগিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শিশু অধিকার রক্ষায় কাজ করা কর্মীদের সঙ্গে যুক্ত হলেন মিম। আগামী দুই বছর দায়িত্বে থাকবেন মিম।
ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, মিম তাঁর অসীম প্রাণশক্তি ও উদ্যম নিয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে অবহেলিত শিশুদের জন্য কাজ করবেন। বাংলাদেশে শিশুশ্রম অনেক বেশি উল্লেখ করে ইয়েট বলেন, শিশু নির্যাতনের ঘটনাও হরহামেশা ঘটে বলেই আরও বেশি সচেতনতা তৈরি প্রয়োজন। তাদের সুরক্ষা, অধিকার আদায়ে ইউনিসেফের হয়ে মিম দায়িত্ব পালন করবেন। শুভেচ্ছাদূত হিসেবে তিনি বিভিন্ন সচেতনতামূলক প্রচারে অংশ নেবেন।
ওয়েল্ডিং পেশায় সফল নারী
রেলকারখানায় ওয়েল্ডিং টেকনিশায়ের মতো একটি পুরোপুরি পুরুষ প্রাধান্যের পেশায় একজন নারী সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে চলেছেন। এই ব্যতিক্রমী নারী বিষয়ে শুনবো প্রতিবেদন।
রেলকারখানায় রেলগাড়ি তৈরিতে ওয়েল্ডিংয়ের কাজকে সাধারণত পুরুষের পেশা বলে মনে করা হয়। কিন্তু একজন নারী কর্মী সাফল্যের সঙ্গে এই পেশায় অংশ নিচ্ছেন। এই সফল নারী হলেন ই রান। তিনি মধ্য চীনের হুনান প্রদেশের চুচৌ শহরের রেল কোম্পানিতে চাকরি করেন। চায়না রেলওয়ে রোলিং স্টক করপোরেশনের একজন ওয়েল্ডিং কর্মী তিনি। ১৮ বছর বয়স থেকে রেলওয়ের পণ্যবাহী গাড়ি তৈরির কাজে নিয়োজিত আছেন তিনি। ৪০ বছর বয়সী ই রান ৮০ হাজারের বেশি পণ্যবাহী রেলগাড়ি তৈরি করে চীনের উন্নয়নে অবদান রাখছেন।
ই রান যখন ওয়েল্ডিংয়ের কাজ শিখতে আসেন তখন তিনি ছিলেন এই পেশায় একমাত্র নারী। তার ওয়েল্ডিং শেখার গুরু হলেন ইয়াং ওয়েইডং। তার শেখার দক্ষতা ও আগ্রহের কারণে তিনি অচিরেই ইয়াং ওয়েইডংয়ের প্রিয় শিক্ষার্থীতে পরিণত হন। তিনি সবচেয়ে কম বয়সে চায়না সাউথ লোকোমোটিভ অ্যান্ড রোলিং স্টক করপোরেশনের সিনিয়র ওয়েল্ডিং টেকনিশিয়ানের পদ লাভ করেন। তখন তার বয়স মাত্র ২৬ বছর। এর পাঁচ বছর পরে মে দিবসের জাতীয় শ্রমিক পুরস্কার পান।
জার্মানিতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ওয়েল্ডিং প্রতিযোগিতায় তিনি ছিলেন একমাত্র নারী প্রতিযোগী। সেখানকার স্থানীয় গণমাধ্যম তাকে চীনের `ইলেকট্রিক মুলান’ নামে অভিহিত করে।