আকাশ ছুঁতে চাই ৭০
চীনের উইগুর স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল সিনচিয়াংয়ে বাসকারী সংখ্যালঘু জাতিদের অন্যতম কাজাখ জাতি। কাজাখ জাতির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বেশ সমৃদ্ধ। কাজাখ জাতির মানুষদের একটি প্রধান পেশা হলো পশুপালন। বসন্তে কাজাখ পশুপালকরা তাদের গবাদি পশুর পাল নিয়ে চলে যায় চারণভূমিতে। গ্রামে রয়ে যায় তাদের প্রিয়জনেরা। গ্রামে রয়ে যাওয়া প্রিয়তমার জন্য কাজাখদের অনেক লোকগীতি রয়েছে। এখন শুনবো এমন একটি লোকগীতি। এই রাখালিয়া গানে ফুটে উঠেছে একজন কাজাখ রাখাল ও তার দূরে রয়ে যাওয়া প্রিয়তমার মনের বেদনা। গানটি দ্বৈতকণ্ঠে পরিবেশন করেছেন বিখ্যাত কাজাখ লোকশিল্পী আসার জাহান এবং গুলকিরা মাওলেত।
মেয়ের জন্য নক্ষত্র আনলেন ওয়াং ইয়া ফিং
মহাকাশ স্টেশন নির্মাণে দীর্ঘ ৬ মাসের সফল মিশন শেষে পৃথিবীতে ফিরেছেন তিন চীনা নভোচারী। আর ওয়াং ইয়াফিং হলেন তাদের মধ্যে একজন। নারী নভোচারী হিসেবে তিনি রেকর্ড গড়েছেন। তিনি এক সন্তানের জননী।
মা ফিরে এসেছে এমন খবরে তাঁর একমাত্র মেয়ে ভীষণ খুশি।
ওয়াং ইয়াফিং। চীনের শেনচৌ-১৩ মানববাহী মহাকাশ মিশনের থাইকোনট। স্পেস স্টেশন নির্মানের ১৮০ দিনের সফল মিশন শেষে পৃথিবীর বুকে ফিরে এসেছেন ওয়াং। গত শনিবার ওয়াংসহ তিন চীনা নভোচারী নিরাপদে পৃথিবীতে ফেরেন।
এসময় ওয়াং চায়না মিডিয়া গ্রুপকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাতকারে চীনা জনগণকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। তাদের সমর্থন তাকে অনুপ্রেরণা দিয়েছে বলে জানান তিনি। এসময় ওয়াং আবেগ আপ্লুত হয়ে একমাত্র কন্যার উদ্দেশ্যে বলেন, আমি তোমার জন্য আকাশের তারাকে নিয়ে এসেছি।
পেইন্টিংয়ে নারীর জীবন
সুপ্রিয় শ্রোতা, চীনের মিং ও ছিং রাজবংশের সময়ে কেমন ছিল নারীদের সামাজিক জীবন, সে বিষয়ে অনেক শিল্পকর্ম রয়েছে। চলুন শোনা যাক প্রতিবেদনে।
শিল্পকলায় নারীকে বিষয় করে যুগে যুগে সৃষ্টি হয়েছে অমর শিল্প। চীনের মিং ও ছিং রাজবংশের সময় নারীর জীবনধারাকে উপজীব্য করে একটি পেইন্টিং প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে সম্প্রতি।
পূর্ব চীনের আনহুই প্রদেশের আনহুই জাদুঘরে চলছে এই পেইন্টিং প্রদর্শনী। ১০০টি পেইন্টিং এখানে প্রদর্শিত হচ্ছে। এগুলোতে উঠে এসেছে ১৩৬৮ থেকে ১৯১১ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন যুগে চীনা নারীদের জীবনযাপন।
বিয়ে, পরিবার, সমাজে নারীর জীবন ও অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে এইসব শিল্পকর্মে। মিং ও ছিং রাজবংশের সময়ে শিল্পীদের আঁকা যেমন এখানে রয়েছে তেমনি পরবর্তিকালের শিল্পীদের আঁকা ওই সময়ের চিত্রও এখানে উঠে এসেছে। আনহুই ও অন্যান্য প্রদেশের শিল্পীদের শিল্পকর্ম রয়েছে এখানে। আধুনিক মাল্টিমিডিয়া প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে জীবন্ত হয়ে উঠেছে সেই সময়ের নারীর জীবনধারা।