আকাশ ছুঁতে চাই পর্ব ৬৫
সিনচিয়াংয়ের মানুষ সুখে আছেন
চীনের উইগুর স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল সিনচিয়াংয়ের মানুষ সুখে আছে এবং সেখানে কোন বাধ্যতামূলক শ্রম নেই বলে সম্প্রতি জানিয়েছেন সিনচিয়াংয়ের একজন আইন প্রণেতা উয়েরনিসা কাদিয়ের। বিস্তারিত শুনবো প্রতিবেদনে।
সিনচিয়াংয়ের একজন জনপ্রতিনিধি উয়েরনিসা কাদিয়ের। ২০০১ সালে গ্র্যাজুয়েশনের পর উয়েরনিসা তার হোম টাউনে ফিরে আসেন। তিনি কৃষি প্রযুক্তিকে এগিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা চালান। তিনি আঙুর চাষে কৃষকদের সহায়তা করেন। ২০১৮ সালে তিনি ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের ডেপুটি নির্বাচিত হন।
তিনি বলেন তিনি কখনও তথাকথিত ‘বাধ্যতামূলক শ্রম’দেখেননি। তিনি বলেন, ‘আমাদের শ্রম বাজার উন্মুক্ত ও স্বাধীন। মানুষ যেখানে চায় সেখানে চাকরি খুঁজে নিতে পারে। বাধ্যতামূলক শ্রম কিভাবে সম্ভব? ‘
উয়েরনিসা তথাকথিত ‘জেনোসাইড’ এর পশ্চিমা অভিযোগকেও হাস্যকর বলে মনে করেন।
‘এটা শুনে আমার হাসি আসে। এটা সত্যি নয়। ১৯৪৯ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার পর থেকে সিনচিয়াংয়ের উইগুর জনসংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। কেন? কারণ সিনচিয়াংয়ের মেডিকেল ও অন্যান্য সুবিধা বৃদ্ধি পেয়েছে। স্বাস্থ্যসেবার দ্রুত উন্নতি হয়েছে। এখানে কিভাবে জেনোসাইড হবে?’
এই জনপ্রতিনিধি জানান, গত কয়েক দশকে সিনচিয়াংয়ের জীবন মানে অনেক উন্নতি হয়েছে। ১৯৮০ ও ৯০ এর দশকে কৃষকরা পুরনো আমলের ঘরবাড়িতে থাকতো। এখন তারা হিটিং সিস্টেম আছে এমন নতুন বাড়িতে বাস করে। তিনি বলেন, ‘আমরা শান্তি, দ্রুত উন্নয়ন ও ভালো জীবন চাই।’
তিনি জানান সিনচিয়াংয়ের জন্য নানা রকম জনবান্ধব নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। ফ্রি স্বাস্থ্যসেবাও রয়েছে। রয়েছে ফ্রি ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা ব্যবস্থা। বর্তমানে সিনচিয়াংয়ের মানুষের সুখী জীবনের চিত্র এভাবেই তুলে ধরেন জনপ্রতিনিধি উয়েরনিসা কাদিয়ের।
সুপ্রিয় শ্রোতা আকাশ ছুঁতে চাই অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গেছি আমরা।
আমাদের অনুষ্ঠান আপনারা সবসময় শুনতে পাবেন শর্ট ওয়েভ ৯ হাজার ৪শ ৯০ এবং শর্ট ওয়েভ ১১ হাজার ৬শ ১০ কিলোহার্টজে। আরও শুনতে পাবেন সিআরআই বাংলার ওয়েবসাইটে এবং অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেজে। জেনে নিন আমাদের ইমেইল অ্যাডরেস, cmg.bangla@gmail.com আমাদের ফেসবুক পেজ facebook.com/CRIbangla এবং facebook.com/CMGbangla এবংআমাদের সাক্ষাৎকারগুলো ইউটিউবে দেখতে পাবেন। youtube.com/CMGbangla.
আজ এ পর্যন্তই। সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন। আবার কথা হবে। চাই চিয়েন।
সার্বিক সম্পাদনা: ইয়ু কুয়াং ইউয়ে আনন্দী
লেখা, গ্রন্থনা, উপস্থাপনা এবং অডিও সম্পাদনা : শান্তা মারিয়া
‘চীনের অগ্রণী নারীরা’ বিষয়ক প্রতিবেদন: রওজায়ে জাবিদা ঐশী
মহাকাশ থেকে শুভেচ্ছা এবং সিনচিয়াংয়ের মানুষ সুখে আছেন, প্রতিবেদন: শান্তা মারিয়া