আকাশ ছুঁতে চাই পর্ব ৬২
দীর্ঘদিন ধরে সাহিত্য চর্চা করছেন জরিনা আখতার।তিনি যখন লেখালেখি শুরু করেন, তখন বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় নারী পাতা ছিল যেখানে নারীদের কবিতা প্রকাশ হতো। নারীরা মূল সাহিত্য পাতায় তেমন স্থান পেতেন না। সেসময়ই তিনি মনে করেন যে নিজের যোগ্যতা অর্জন করতে হবে এবং নিজস্ব কণ্ঠস্বর ও স্টাইল গড়ে তুলতে হবে। ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত হয় জরিনা আখতারের প্রথম কবিতার বই ‘কালো ময়ূরের ডাক’।
জরিনা আখতার মনে করেন নারী লেখক ও পুরুষ লেখকের যোগ্যতায় পার্থক্য নেই তবে অবশ্যই স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য আছে।
নারী লেখকদের স্বতন্ত্র কণ্ঠস্বর শোনা যায় যা তাদের আলাদা বৈশিষ্ট্য। নারীর মনোজগতের প্রতিফল ঘটে কবিতায়। এটি অবশ্যই সাহিত্যে ভিন্নমাত্রা যোগ করে।
লেখালেখির ক্ষেত্রে নারীর অন্যতম প্রতিবন্ধকতা হলো, ‘নারী লেখক’ হিসেবে তাদের চিহ্নিত করার প্রবণতা। ‘নারীকবি’, ‘নারীলেখক’ হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের প্রতি কিছুটা অবহেলা, প্রচ্ছন্ন অবজ্ঞা প্রদর্শন, তাদের পুরুষ লেখকের সমকক্ষ না মনে করা হলো একটি প্রতিবন্ধকতা। তবে এখন এই প্রবণতা কমছে বলেও জানান জরিনা আখতার। এখন নারীরা সমযোগ্যতা ও সম অবস্থান নিয়েই লেখালেখির জগতে এগিয়ে যাচ্ছেন। তবে এখনও নারীকে অনেক প্রচ্ছন্ন প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। বাধা পেরিয়েই নারীরা এগিয়ে যাচ্ছেন।
জরিনা আখতার কিছুটা নিভৃতচারী। অতিরিক্ত প্রচার তিনি পছন্দ করেন না। তিনি যতটা ভাবেন ততোটা লেখেন না, যতটা লেখেন ততোটা প্রকাশ করেন না। জোর করে বা আরোপিত কবিতা লেখায় তিনি বিশ্বাস করেন না। তিনি বলেন, ‘আমি কবিতার কাছে যেতে পারি না। কবিতাকেই আমার কাছে আসতে হয়।’ লেখালেখি যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের লাইক কমেন্ট নির্ভর হয়ে পড়ে তাহলে সেটা শুভ প্রবণতা নয় বলেও মনে করেন তিনি।
ফ্যাশন ডিজাইনার ওয়াং ফাংচেন
সদ্য সমাপ্ত বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিকে চীনা দলের পোশাক প্রশংসিত হয়েছে। অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধনী আসরে চীনা পতাকাবাহী দল যে পোশাক পরেন তার ডিজাইনার হলেন ওয়াং ফাংচেন। এই প্রখ্যাত নারী ফ্যাশন ডিজাইনারকে নিয়ে রয়েছে একটি প্রতিবেদন।
ওয়াং ফাংচেন একজন বিশ্বখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার। চীনে জন্ম গ্রহণকারী ওয়াং ফাংচেন পাশ্চাত্য ফ্যাশন জগতে শুধু ফাংচেন নামেও পরিচিত।
তাকে বলা হয় চীন থেকে আসা নতুন প্রজন্মের ফ্যাশন প্রতিভা। তিনি ২০১৫ সালে লন্ডনের খ্যাতিমান রয়েল কলেজ অব আর্ট থেকে ফ্যাশন মেন’স ওয়্যার বা পুরুষের পোশাক বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।
লন্ডনভিত্তিক এই ফ্যাশন ডিজাইনার অলিম্পিক গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চীনের অ্যাথলেটদের পোশাক পরিকল্পনায় চীনের ঐতিহ্য এবং অলিম্পিক থিম দুটোইকেই মাথায় রেখে পরিকল্পনা করেন।
ফাংচেন বলেন, আমি সবসময় প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মেল বন্ধন করতে চাই। আমার ফ্যাশন চেতনা হলো ভবিষ্যতমুখী। চীনা অলিম্পিক দলের পোশাক নির্ধারণে আমি নীল রং এনেছি। তার সঙ্গে তুষার শুভ্র পাহাড় এবং চারপাশ ঘিরে শহরের ল্যান্ডমার্কগুলো রাখার চেষ্টা করেছি।’
চীনের ঐতিহ্যবাহী ব্রাশ পেইন্টের স্টাইল বেছে নিয়েছেন ফাংচেন। সেই সঙ্গে গ্রেট ওয়ালের মতো চীনের ল্যান্ডমার্ক স্থাপনার নকশাও রেখেছেন।
ওয়াং ফাংচেনের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তার ব্র্যান্ডের বৈশিষ্ট্য হলো টেকসই ফ্যাশন। তিনি বলেন,
‘আমার প্রতিষ্ঠান খুব বড় কোন কর্পোরেট হাউজ বা বিগ বাজেটের নয়। তবে আমি চেষ্টা করছি টেকসই , আধুনিক ও ভবিষ্যতমুখী ফ্যাশন উপহার দেয়ার।’
চীনের এই আধুনিক নারী ফ্যাশন ডিজাইনার ফ্যাশন বিশ্বে নিজেকে মেলে ধরছেন এবং অলিম্পিকের পর তার খ্যাতির দিগন্ত স্বাভাবিকভাবেই অনেক বেশি প্রসারিত হয়েছে।
গান
সুপ্রিয় শ্রোতা, আপনারা শুনছেন চীন আন্তর্জাতিক বেতারের ঢাকা স্টেশন থেকে প্রচারিত অনুষ্ঠান আকাশ ছুঁতে চাই। চীনের একজন প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী চাং চিংইয়িং যিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জেন চাং নামেও পরিচিত।
১৯৮৪ সালে জন্মগ্রহণকারী এই তারকা শিল্পী নিজেই গান লিখে থাকেন। তার প্রথম স্টুডিও অ্যালবাম ২০০৬ সালে প্রকাশিত হয়। এরপর থেকেই বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি। এখন আমরা জেন চাংয়ের কণ্ঠে শুনবো একটি গান।
সম্মাননা পেলেন ৬৫৪ নারী বীর মুক্তিযোদ্ধা
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী ৬৫৪জন নারী বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্প্রতি সম্মাননা প্রদান করেছে বাংলাদেশ সরকার। বিস্তারিত প্রতিবেদনে: