আকাশ ছুঁতে চাই ৩২-China Radio International
অলিম্পিকে তিনি অংশ গ্রহন করেন ১০০ মিটার অ্যাথলিট প্রতিযোগিতায়। ১৯৯৮ সালে জুনিয়র মিটে তিনি ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ১০০ মিটার স্প্রিন্ট ও লং জাম্পে।
২০০০ সালের অলিম্পিকে তিন নারী ক্রীড়াবিদের আরেকজন প্রতিযোগী ছিলেন সাবরিনা সুলতানা। বাংলাদেশী স্পোর্টস শ্যুটার সাবরিনা অলিম্পিকে ৫০ মিটার রাইফেল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন, যেখানে তিনি ৩৮ তম হন এবং মহিলাদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেল ইভেন্টে অংশগ্রহণ করে ৪৬তম স্থানে অবস্থান করেন।
২০০০, ২০০৪ ও ২০০৮ অলিম্পিকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বকারী সাঁতারু ডলি আক্তার । এশিয়ান গেমস এবং দক্ষিণ এশীয় গেমসে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন এই ক্রীড়াবিদ।
তার বড় সাফল্য দক্ষিণ এশীয় গেমসে রৌপ্য পদক জয়। ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত বেইজিং গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ট্র্যাক এবং ফিল্ডে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন বিউটি নাজমুন নাহার।
উক্ত অলিম্পিকে তিনি ১০০ মিটার স্প্রিন্টে অংশগ্রহণ করেন এবং অষ্টম স্থান অর্জন করেন, যদিও তিনি পরের রাউন্ডে খেলার সুযোগ পান নি। মাত্র ১২.৫২ সেকেন্ডে নাজমুন নাহার ১০০ মিটার দুরত্ব অতিক্রম করেছিলেন।
২০১২ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে বাংলাদেশের পাঁচজন ক্রীড়াবিদের একমাত্র নারী ছিলেন শারমিন রত্না। মাগুরা জেলায় জন্মগ্রহণকারী বাংলাদেশের এই শ্যুটার অলিম্পিকে মহিলাদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে অংশগ্রহণ করেন। ৫৬ দেশের প্রতিযোগীদের মধ্যে তার অবস্থান ছিল ২৭তম ও পয়েন্ট লাভ করেন ৩৯৩। ২০২০ সালের চলতি অলিম্পিকে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশী তীরন্দাজ দিয়া সিদ্দিকি। ২০২১ সালের তীরন্দাজী বিশ্বকাপে রিকার্ভ মিশ্র দল বিভাগে রোমান সানার সাথে রৌপ্যপদক জয় করেছিলেন তিনি। লন্ডন প্রবাসী জুনায়না আহমেদ বাংলাদেশী সাঁতারু হিসেবে প্রথমবার অংশগ্রহন করেছেন অলিম্পিকে। ৩০ জুলাই তার ইভেন্ট শুরু হবে । ১৭ বছর বয়সী এই সাঁতারুও ২০১২ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়াংজুতে অনুষ্ঠিত ২০১৯ ওয়ার্ল্ড অ্যাকুয়াটিক চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। কুবার্তিনের মূলমন্ত্র- ‘জয়লাভ নয়, অংশগ্রহণই বড় কথা’ বাণীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ১৯৯২ সাল থেকে বিশ্ব অলিম্পিকে অংশ গ্রহন করে যাচ্ছে বাংলাদেশের নারীরা।
সংকট উত্তোরণে চাই উদ্ভাবনী চিন্তা
বিগত কয়েক দশকে বাংলাদেশের নারীর সার্বিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটেছে এবং দেশগঠনে নারী উল্লেখযোগ্য অবদানও রেখেছেন। কিন্তু করোনা মহামারীর কারণে এই উন্নয়ন অনেকটাই বাধাগ্রস্ত হয়েছে। কিভাবে এই সংকট অতিক্রম করে নারীর উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে অব্যহত রাখা যায় সে প্রসঙ্গে আজ আমরা কথা বলবো ইউএনডিপির জেন্ডার অ্যানালিস্ট শারমিন ইসলাম সুবর্ণার সঙেগ। ভার্চুয়ালি তিনি যুক্ত হচ্ছেন।
সাক্ষাৎকার:
শারমিন ইসলাম সুবর্ণা জানান আন্তর্জাতিক সংস্থা হিসেবে ইউএনডিপি কিভাবে নারীর উন্নয়নে কাজ করছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যে ক্ষতি তা মোকাবেলাতেও সহায়তা কার্যক্রম চালাচ্ছে। দারিদ্র দূরীকরণেও কাজ করছেন তারা। নারী উন্নয়নে তাদের বিভিন্ন প্রকল্প রয়েছে। নারীর ক্ষমতায়নে তারা কাজ করছেন। গত কয়েক দশকে বাংলাদেশে নারীর আর্থসামাজিক ক্ষমতায়নে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। তবে টেকসই উন্নয়নে আরও অনেকদূর যেতে হবে। তবে নারীর প্রতি সহিংসতা বাড়ছে।কেন এটা ঘটছে সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নারীর ক্ষমতায়নকে মেনে নেয়ার জন্য এবং নারীর উন্নয়নের জন্য পুরুষকেও কিন্তু তৈরি করতে হবে। ‘নারীর চলাচল বা অংশগ্রহণ যত বাড়বে সেই ভুমিকায় তাকে মেনে নেয়ার জন্য পুরুষের মনমানসিকতাও বদলাতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমার মা বা শাশুড়ি চাকরি করতেন না। তাদের জীবন সংসারে সীমাবদ্ধ ছিল।’ কিন্তু আজকের নারী সমাজের সকল ক্ষেত্রে অংশ নিচ্ছেন। নারীর এই পরিবর্তিত ভূমিকা পুরুষ যেন গ্রহণ করতে পারে, ইতিবাচকভাবে চিন্তা করতে পারে, সহযোগিতামূলক মনোভাব পোষণ করতে পারে সেজন্য পুরুষের মনমানসিকতা বদলের জন্যও প্রশিক্ষণ ও কর্মশালার প্রয়োজন। সচেতনতা বৃষ্টির প্রয়োজন। কোভিড ১৯ মহামারীর কারণে নারীর অগ্রগতি অনেক বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তার উপর গৃহস্থালি শ্রমের চাপ বেড়েছে পাশাপাশি অনেক নারী পারিবারিক সহিংসতারও শিকার হচ্ছেন। মহামারির কারণে অনেক নারী কাজ হারিয়েছেন। নানা রকম সংকট তৈরি হচ্ছে। তবে কিভাবে এই সংকট অতিক্রম করা যায় সেজন্য উদ্ভাবনী বা ইনোভেটিভ চিন্তার প্রয়োজন।
শারমিন সুবর্ণা মনে করেন, মহামারির প্রেক্ষাপটে মানুষ কিন্তু ডিজিটাল দিক থেকে অনেক অগ্রসর হয়েছে। অনেকে বাড়িতে বসে হোম অফিস করছেন। অনেক ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা অনলাইনে ব্যবসা করছেন। এটা একটা ইতিবাচক দিক। প্রান্তিক নারীদেরও কিভাবে এই প্রযুক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত করা যায় সেটাই এখন ভেবে দেখার বিষয়। উদ্ভাবনী চিন্তা, কার্যকর পরিকল্পনা এবং পরিকল্পনাগুলোর যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সংকট উত্তোরণ করতে হবে।
সুপ্রিয় শ্রোতা এখন শুনবেন শিল্পী সুন ইয়ান চির কণ্ঠে একটি চীনা গান। গানটি প্রেমভিত্তিক।
সুপ্রিয় শ্রোতা, চীনের উইগুর স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল সিনচিয়াংয়ে নারীরা বর্তমানে এগিয়ে যাচ্ছেন নতুন জীবনের পথে। তারা শিক্ষিত হচ্ছেন, বেছে নিচ্ছেন বিভিন্ন পেশা। এমনি একজন নারী মারজিয়া মালিক। শুনুন তার জীবনের গল্প।