আকাশ ছুঁতে চাই ৩২-China Radio International
১. স্বর্ণজয়ী ইয়াং ছিয়ান
২. অলিম্পিকে বাংলাদেশী নারীর অংশগ্রহণ
৩. সাক্ষাৎকার: সংকট উত্তোরণে চাই উদ্ভাবনী চিন্তা
৪. গান: শিল্পী সুন ইয়ান চি
৫. সিনচিয়াংয়ে নতুন যুগের নারী
৬. ফিলিস্তিনের নারীদের জন্য রূপসজ্জা
চীন আন্তর্জাতিক বেতারের ঢাকা স্টেশন থেকে প্রচারিত আকাশ ছুঁতে চাই অনুষ্ঠানে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি শান্তা মারিয়া। আমাদের অনুষ্ঠানে আমরা কথা বলি নারীর সাফল্য, সমস্যা, সংকট ও সম্ভাবনা বিষয়ে।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই রয়েছে নারীর সাফল্যের একটি খবর।
স্বর্ণজয়ী ইয়াং ছিয়ান
চলমান অলিম্পিক ক্রীড়ায় টোকিওতে নিজের প্রথম অলিম্পিক অভিষেকেই বাজিমাত করলেন চীনা নারী ক্রীড়াবিদ শ্যুটার ইয়াং ছিয়ান। চীনের হয়ে টোকিও অলিম্পিকের প্রথম সোনাটি জিতেছেন তিনি।
গেল শনিবার টোকিও অলিম্পিকে তিন ইভেন্টে তিনটি স্বর্ণ পদক এবং একটি ব্রোঞ্জ জিতেছেন চীনা অ্যাথলিটরা। এদিন টোকিও আসাকা শ্যুটিং রেঞ্জে ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে রুশ ও সুইস প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে এ কৃতিত্ব দেখান ২১ বছর বয়সী নারী ইয়াং ছিয়ান। ইয়াং ছিয়ানের প্রথম সোনা জয়ের মধ্য দিয়ে টোকিও অলিম্পিকে চীনের শুভ সূচনা হয়েছে। তার প্রবল ইচ্ছা শক্তি তাকে কঠোর শ্যুটিং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সাধনা চালিয়ে যেতে এবং দুর্দান্ত অসুবিধা কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করেছে। এয়ার রাইফেল অলিম্পিক ইভেন্টে অ্যাথলিটদের বন্দুক ধরার সময় একইসঙ্গে কয়েক ঘণ্টার জন্য পুরোপুরি স্থির থাকতে হয়। ইয়াং ছিয়ানের অধ্যবসায়ের কারণেই তা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।
বাছাইপর্বে ষষ্ঠ স্থানে থাকা ইয়াং ফাইনালে ২৫১.৮ পয়েন্ট অর্জন করে চীনকে টোকিওর দুর্দান্ত সূচনা এনে দেয়। ক্রীড়া বিশ্লেষকরা মনে করেন, এ ফলাফলটি ভবিষ্যতের অলিম্পিক প্রতিযোগীদের জন্য একটি বড় অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে ।
সুপ্রিয় শ্রোতা, চলমান টোকিও অলিম্পিকে বাংলাদেশ দলে রয়েছেন দু’জন নারী ক্রীড়াবিদ। বাংলাদেশ দলের পক্ষে এর আগেও অংশ নিয়েছেন অনেক কৃতী নারী। অলিম্পিক আসরে বাংলাদেশের নারীদের অংশগ্রহণ সম্পর্কে বিস্তারিত প্রতিবেদন শুনুন।
অলিম্পিকে বাংলাদেশী নারীদের অংশগ্রহণ
২৪ শে জুলাই থেকে জাপানের রাজধানী টোকিওতে বসেছে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের ২৯তম আসর। ৯ আগস্ট পর্যন্ত জমজমাট পরিবেশে চলবে এই আয়োজন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭২সালে মিউনিখ অলিম্পিক গেমসে বাংলাদেশের প্রথম অংশগ্রহণ থাকলেও প্রথম নারী অংশ গ্রহন করেন ১৯৯২ সালে। সেবার গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে অংশ গ্রহণ করেন কাজী শাহানা পারভীন। অলিম্পিকে তিনিই প্রথম বাংলাদেশী নারী শ্যুটার ছিলেনমহিলাদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেল ইভেন্টে অংশ গ্রহন করেন তিনি। এছাড়াও তিনি ১৯৯৪ এশিয়ান গেমস এবং ১৯৯৮ কমনওয়েলথ গেমসেও অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে মহিলাদের লং জাম্প প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন নিলুফার ইয়াসমিন। সে বছর অলিম্পিকে তিনিই একমাত্র বাংলাদেশী নারী ক্রীড়াবিদ ছিলেন। ২০০০ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে অ্যাথলিটে অংশ গ্রহন করেন ফৌজিয়া হুদা জুঁই।