আকাশ ছুঁতে চাই ২৪-China Radio International
একজন আইনজীবী হিসেবে তিনি সমাজের বিভিন্ন স্তরে নারীদের জন্য কাজ করেছেন বলে জানান। তিনি বিভিন্ন ব্রোথেলে অবস্থানরত নারীদের আইনগত অধিকার প্রাপ্তির জন্য কাজ করছেন দীর্ঘদিন ধরে। তিনি শুধু অর্থ উপার্জনের জন্য কাজ করেন না বরং একজন বিবেকবান মানুষ হিসেবে নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করেন বলে জানান।
তিনি মনে করেন আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হতে হবে নারীবান্ধব। পুলিশ স্টেশনগুলোর পরিবেশ যেন নারী বান্ধব হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।
তার ক্যারিয়ার গড়ার ক্ষেত্রে তিনি পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতা পেয়েছেন। তবে মাঝেমধ্যে আশপাশের মানুষ তাকে ভুল বুঝেছে। কিন্তু তিনি এগুলোকে গুরুত্ব দেননি।
দিলরুবা সরমিন একজন কলামিস্ট হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছেন। তিনি নারীর আইনগত অধিকার নিয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় লেখেন।
তিনি মনে করেন, নারী ও শিশুসহ সকল নাগরিকের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ও নিরাপত্তা বিধানে রাষ্ট্রকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।
প্রতিবেদন
গ্রামের ভাগ্য বদলে দিলেন বিচক্ষণ নারী লান নিয়ানইং
লান নিয়ানইং গত কয়েক দশক ধরে সিনইয়ুয়ে গ্রামের কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই নারীর বিচক্ষণ নেতৃত্বে বদলে গেছে পুরো গ্রামের ভাগ্য। তিনি চারা গাছ উৎপাদন ও এথনিক টুরিজমের মাধ্যমে গ্রামের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটিয়েছেন।
চিয়াংসি প্রদেশের ফুচোও শহর থেকে একটু দূরে সিনইয়ুয়ে গ্রাম। এখানে ৪২০ জন মানুষের বসবাস যারা বেশিরভাগই শি এথনিক গ্রুপের। বর্তমানে তাদের মাথাপিছু আয় ১৭ হাজার ইউয়ান যা পাঁচ বছর আগের দ্বিগুণ। এই গ্রামে পর্যটকরা আসে শি এথনিক গ্রুপের সংস্কৃতি দেখা, এখানকার বিশেষ খাদ্য গ্রহণ ও শিল্পসামগ্রীর জন্য।গ্রামের নেতা লান নিয়ানইং তার পরিবার এবং সমাজের অন্যদের সঙ্গে ষাটের দশকে এই নতুন গড়ে তোলা গ্রামে বসবাস শুরু করেন।তিনি আশির দশকে চারাগাছ উৎপন্ন করার পেশা শুরু করেন। খামারের পালিত পশু বিক্রি করে ২০০ ইউয়ান দিয়ে চারাগাছ চাষ করার প্রশিক্ষণ নেন।
১৯৮৫ সালে কমলালেবুর চারা বিক্রি করে ১০ হাজার ইউয়ান আয় করেন। বীজ সংগ্রহ করে সেখান থেকে চারাগাছ উৎপন্ন করার ব্যবসা ধীরে ধীরে প্রসারিত হয়। তিনি তার গ্রামের অনেককে নিয়ে একটি সমবায় গড়ে তোলেন। ১৯৯৯ সালে গ্রামবাসীরা তার নেতৃত্বে চারাগাছের উৎপাদন অনেক বাড়িয়ে তোলেন।
লান বলেন, ‘গ্রামের অনেকেই জানতেন না কোথায় ও কিভাবে চারাগাছ বিক্রি করবেন। আমি সেই দায়িত্ব গ্রহণ করি’। ২০১৬ সালে তার উদ্যোগে গ্রামে পর্যটন শিল্প গড়ে ওঠে।
লানের বয়স এখন ৬২ বছর। তিনি ঐতিহ্যবাহী ফুলকাটা পোশাক পরেন এবং শি এথনিক গ্রুপের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করে কিভাবে পর্যটন শিল্পকে আরও বিকশিত করা যায় তার পরিকল্পনা করেন। তাদের গ্রামে গত বছর দুই লাখ পর্যটক এসেছে। এভাবে বুদ্ধিমতী ও পরিশ্রমী লান নিয়ানইংয়ের নেতৃত্বে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে গ্রামটি।
সুপ্রিয় শ্রোতা এখন শুনবেন শিল্পী ছাই চিয়ান ইয়ার কন্ঠে একটি গান। গানটির শিরোনাম হলো যখন আমি তোমাকে মিস করি।
বিখ্যাত বাঙালি নারী: কুসুমকুমারী দাশ
‘আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে
কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে’
‘আদর্শ ছেলে’ নামে এই কবিতার লেখক কুসুমকুমারী দাশ। তিনি শুধু একজন বাঙালি নারী কবিই নন তিনি বিংশ শতাব্দীর প্রধান আধুনিক বাঙালি কবি জীবনানন্দ দাশেরও মা। কুসুমকুমারী দাশ ১৮৭৫ সালে বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ৪র্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়েন। এরপর কলকাতার বেথুন স্কুলে প্রবেশিকা শ্রেণিতে পড়ার সময়েই ১৮৯৪ সালে তার বিয়ে হয় বরিশালের ব্রজমোহন ইন্সটিটিউশনের প্রধান শিক্ষক সত্যানন্দ দাশের সঙ্গে। তারই অনুপ্রেরণায় কুসুমকুমারী সাহিত্য চর্চা চালিয়ে যান।
ছোটবেলা থেকেই কবিতা ও প্রবন্ধ লিখতেন কুসুমকুমারী। ‘কাব্য মুকুল’ তার কাব্যগ্রন্থ। ‘পৌরাণিক আখ্যায়িকা’ গদ্যগ্রন্থ। তাঁর অল্প কিছু কবিতা প্রকাশিত হয়েছে প্রবাসী ও মুকুল পত্রিকায়। তাঁর কবিতায় বার বার উঠে এসেছে ধর্ম, নীতিবোধ, দেশাত্মবোধ। সে সময়ে নারীত্বের আদর্শ নামের একটি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তিনি স্বর্ণপদকে ভূষিত হন। কুসুমকুমারী দাশ ১৯৪৮ সালে কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।
চীনের বিখ্যাত বিজনেস এক্সিকিউটিভ: ওয়াং ফং ইং