'বিজনেস টাইম'পর্ব- ১০
গবেষণায় দেখা গেছে যদি ওই মানুষগুলো শহরে বাস করার সুযোগ পায় এবং নাগরিক মৌলিক সেবা পায় তবে তাদের ভোগের পরিমাণ ৩০ শতাংশ বাড়তে পারে।
সরকারি তথ্যমতে, ২০২৪ সালের প্রথম তিন মাসে চীনের মাথাপিছু নিষ্পত্তিযোগ্য আয় ছিল ১১ হাজার ৫৩৯ ইউয়ান। যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬.২ শতাংশ বেশি। একই সময়ে শহরের মাথাপিছু নিষ্পত্তিযোগ্য আয় দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ১৫০ ইউয়ানে যা আগের চেয়ে ৫.৩ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে গ্রামে বসবাসকারীদের আয় ৬৫৯৬ ইউয়ান। এটি আগের চেয়ে ৭.৬ শতাংশ বেশি।
ক্রমান্বয়ে অর্থনৈতিক ব্যবস্থার উন্নয়ন ও কর্মস্থানবান্ধব নীতির ফলে চীনের চাকরি বাজারের উন্নয়ন হয়েছে। শাংহাই-ভিত্তিক চায়না মার্কেট রিসার্চ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেন ক্যাভেন্ডার বলেছেন, অফিসভিত্তিক কাজে যুক্ত কর্মীরা আঁচ করতে পারছেন, বাজার অবস্থা ভালোর দিকে যাচ্ছে। এতে তারা আরও ব্যয় করতে আগ্রহী হচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, যেসব কোম্পানি অনেক বছর ধরে নিজেদেরকে বিনিয়োগ থেকে সরিয়ে রেখেছিল, এখন তারাও চীনে ব্যবসা বাড়ানোর কথা ভাবছে।
চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর ডেপুটি হেড শেং লাইয়ুন বলেন, নাগরিকদের আয় বাড়ছে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগও বাড়ছে। এর ফলে সকলের ভোগক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
নীতি প্রবর্তন
এ বছর ভোগক্ষমতার স্থিতিশীলতা রাখতে দেশীয় পণ্যের চাহিদা বাড়ানো ও সঠিক অর্থনৈতিক প্রবাহ জোরদার করতে বদ্ধপরিকর চীন। গত মাসে, চীনের স্টেট কাউন্সিল এ বিষয়ে একটি পরিকল্পনা নেয়। নানা ধরনের শিল্প সরঞ্জামের উন্নয়নের মাধ্যমে ভোগ্যপণ্যের বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য প্রচার সম্পর্কিত যেসব পদক্ষেপ নেওয়া দরকার সেসবের বিস্তারিত আছে এ পরিকল্পনায়।
চীন সরকার ঠিক করেছে, সরঞ্জামের মানোন্নয়ের সাথে জড়িত সংস্থাগুলোকে উন্নয়নের আওতায় আনার জন্য কর প্রণোদনা এবং সুদের হারে ভর্তুকি দেওয়া হবে। একই সাথে যেসব গ্রাহক কম দূষণের গাড়ি কিনতে ইচ্ছুক তাদের জন্য ভর্তুকির ব্যবস্থাও করা হবে।
স্থানীয় সরকার ও আসবাবপত্রের ব্যবসায়ে সম্পৃক্ত কোম্পানিগুলোকে এ বিষয়ে উৎসাহিত করা হচ্ছে যেন তারা পরিবেশবান্ধব এবং স্মার্ট বাণিজ্য করতে আগ্রহী গ্রাহকদের ভর্তুকি ও অগ্রাধিকার দেয়।
চীনের পরিসংখ্যান ব্যুরোর উপপ্রধান চীনের প্রায় ১৪০ কোটি ভোক্তার যে বাজার, সেটার সম্ভাবনা এখনও বিশাল। আর এ বাজারের জন্য ভোগপণ্য তৈরির বিন্যাসও ধীরে ধীরে বদলে যাচ্ছে।
।। প্রতিবেদন: ফয়সল আবদুল্লাহ
।। সম্পাদনা: শাহানশাহ রাসেল
প্রযোজনা ও উপস্থাপনা: শাহানশাহ রাসেল
অডিও সম্পাদনা: নাজমুল হক রাইয়ান
স্ক্রিপট সম্পাদনা: ফয়সল আবদুল্লাহ
সার্বিক তত্ত্বাবধান: ইউ কুয়াং ইউয়ে আনন্দী