'বিজনেস টাইম'পর্ব- ১০
মেলার দ্বিতীয় পর্বে আরও বেশি নামিদামী প্রদর্শক ও ব্র্র্যান্ড অংশ নিয়েছে। ৯শর বেশি প্রভাবশালী ব্র্যান্ডের মালিকানাধীন পাঁচ হাজারের বেশি ব্র্যান্ড বুথ রয়েছে। তবে শুধু খ্যাতিমান ব্র্যান্ড নয়, কয়েকটি দেশের সাধারণ উদ্যোক্তারাও এসেছেন।
বিখ্যাত আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলোর পাশাপাশি বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর উদ্যোক্তারাও অংশ নিচ্ছেন মেলায়।
মেলায় কিচেনওয়্যার বা রান্নাঘরের সামগ্রী প্রদর্শিত হচ্ছে ৭০ হাজার বর্গমিটার এলাকা জুড়ে। ১৫০০ প্রদর্শক এসেছেন এসব পণ্য নিয়ে। রান্নাঘর আর টেবিলওয়্যার সামগ্রীর প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ ছিল প্রচুর। বর্তমান প্রজন্ম যে আধুনিক ও মানসম্মত জীবনযাপন পছন্দ করে এই পণ্যগুলো তারই প্রমাণ বহন করছে।
ক্যান্টন মেলা তিন পর্বে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতিটি পর্ব পাঁচদিনের। ১৫ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত চলছে এ মেলা।
১৯৫৭ সালে শুরু হওয়া ক্যান্টন মেলা বছরে দুবার অনুষ্ঠিত হয়। এটি চীনের বৈদেশিক বাণিজ্যের একটি প্রধান পরিমাপক হিসেবে বিবেচিত হয়।
।। প্রতিবেদন: শান্তা মারিয়া
।। সম্পাদনা: রহমান
বিশ্লেষণ পর্ব:
ভোগ্যপণ্যের বাজারে এগিয়ে যাচ্ছে চীনের অর্থনীতি
চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো জানাল, এ বছরের প্রথম তিন মাসে চীনের জিডিপি বেড়েছে ৫.৩ শতাংশ। চীনের নিজস্ব ভোগ্যপণ্যের বাজার এ প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে ৭৩.৭ শতাংশ।
আর এই ভোগক্ষমতা বৃদ্ধিতে মূল ভূমিকা রাখছে তিনটি বিষয়—সেবা সম্পর্কিত বাজার, নানা উৎসব উদযাপন সংক্রান্ত ভোগ্যপণ্য এবং গৃহস্থলীর নানা পণ্যের প্রসার।
ভোগক্ষমতার নতুনধারা
চীনে বিনোদন থেকে শুরু করে পর্যটন ও ডিজিটাল খাতে ভোগের পরিধি ব্যাপকভাবে বেড়েছে। বিশেষ করে দেশীয় ব্যান্ডগুলো এখন চীনের ভোক্তাদের কাছে জনপ্রিয় হচ্ছে এবং সেই ধারাবাহিকতায় বাড়ছে বিক্রিও। চীনের ঐতিহ্যবাহী পোশাক “হর্স-ফেইসড-স্কার্ট” ও “নিও-চাইনিজ” গয়নার চাহিদাও এ বছরের প্রথম
দুইমাসে কয়েক গুণ করে বেড়েছে। আবার স্বাস্থ্য সচেতনতার পাশাপাশি খেলাধুলা বিষয়ক অর্থনীতিও এগিয়ে যাচ্ছে চীনে। বিশেষ করে রানিং সু , দ্রুত শুকানো যায় এমন জামাকাপড় ও খেলাধুলার নানা সরঞ্জামের বিক্রি বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনের উদ্যমী তরুণদের হাত ধরে নতুন একটি “মেইড ইন চায়না” বিপ্লবের সূচনা হয়েছে।
টেকসই ও স্থিতিস্থাপকতা
চীনের ভোগক্ষমতাকে টেকসই রাখার প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে চলমান নগরায়ন এবং ক্রমবর্ধমান আয়। ২০২৩ সালের শেষের দিকের তথ্যানুসারে, চীনের ৬৬ শতাংশেরও বেশি মানুষ এখন শহরাঞ্চলে বাস করছে। এক হিসাবে দেখা গেছে, এক শতাংশ নগরায়ন বাড়লে চীনের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য বাড়ছে ২০০ বিলিয়ন ইউয়ান।
এখনও ১৭ কোটি অভিবাসী গ্রামীণ কর্মী আছে যারা এখনও শহরে স্থায়ী হতে পারেননি। তারা শহরে এলে চীনের অর্থনীতি আরও ফুলেফেঁপে উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।