‘বিজনেস টাইম’ পর্ব- ০৮
চীন ও চীনের বাইরের দুনিয়ার ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি-উন্নয়নের হালচাল নিয়ে নিয়মিত সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান ‘বিজনেস টাইম’।
এই পর্বে থাকছে:
১. ঢাকায় নতুন ভিসা সেন্টার চালু করলো চীনা দূতাবাস
২. বাংলাদেশে চালু হয়েছে চীনা প্রতিষ্ঠান নির্মিত দেশের বৃহত্তম বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প।
৩. চীন একা বদলাবে না, বিশ্বকেও দেখাবে পথ- বিএফএ সম্মেলনে আশাবাদ বিশেষজ্ঞদের
বিশ্লেষণ পর্ব:
সম্প্রতি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় চালু হয়েছে চায়না ভিসা সেন্টার। গত ১১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার থেকে সেন্টারটির কার্যক্রম চালু হয়েছে। এখন থেকে সাধারণ পাসপোর্টধারীরা এই সেন্টার থেকে ভিসার আবেদন করতে পারবেন। এই প্রসঙ্গে কথা বলেছেন অথর্নীতি বিশ্লেষক ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইএসএস)-য়ের গবেষণা পরিচালক ড. মাহফুজ কবীর।
কর্পোরেট প্রোফাইল:
‘চীন একা বদলাবে না, বিশ্বকেও দেখাবে পথ’
চীনে নতুন উদ্ভাবন বাড়ছে এবং পাশাপাশি গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগের ক্ষেত্র বাড়াচ্ছে। যার ফলস্বরূপ ২০২৩ সালে, চীনের জাতীয় উদ্ভাবন সূচক পুরো বিশ্বে ১৩তম থেকে দশম অবস্থানে উঠে আসে।
পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি বিকাশে চীন শুধু নিজের দেশে নয়, কাজ করে যাচ্ছে গোটা বিশ্বজুড়ে।
সাম্প্রতিক খবরে উঠে এসেছে বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার কথা। বাংলাদেশের উত্তরের এ জেলায় প্রায় ১ লাখ ৬৯ হাজার সোলার প্যানেলের একটি ৫০ মেগাওয়াটের প্রকল্প নির্মিত হয়েছে চীনের বিনিয়োগে। চীনের তৈরি স্থাপনাটি বাংলাদেশের পরিবেশবান্ধবভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কাজ করে যাচ্ছে।
মো. নাসিরুদ্দিন নামে ময়মনসিংহের এক বাসিন্দা সিনহুয়াকে বলেছেন, তার ছেলে মেয়েসহ অনেক আত্মীয় এই পাওয়ার প্লান্টে কাজ করছে। এতে তারা উপকৃত হচ্ছেন।
এশিয়ার দেশগুলোর সার্বিক উন্নয়নের ও সহযোগিতার লক্ষ্যে চীনের বিনিয়োগে এই পরিবেশবান্ধব প্রকল্পটি গড়ে তোলা হয়। এর মাধ্যমে চীনের সহযোগী মনোভাব ও মানসম্পন্ন উন্নয়নের প্রতিশ্রুতিরই প্রমাণ পাওয়া যায়।
সম্প্রতি শেষ হওয়া বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া সম্মেলনে চীনের মানসম্মত উন্নয়ন ও এর গতিশীলতার প্রতি দৃষ্টি দেওয়া হয়। এশিয়ার বাইরেও চীনের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম বৃদ্ধির প্রতি আশাবাদ ব্যক্ত করা হয় এতে।
দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধি
এবারের বোয়াও সম্মেলনটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চীনের শীর্ষ আইনপ্রণেতা চাও ল্য চি। চীনের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা যেভাবে বিশ্বকে সমৃদ্ধ করতে পারে তা তুলে চাও বলেন, ‘গুণগত উন্নয়নের মাধ্যমে চীন সকল ক্ষেত্রে আধুনিকায়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এটি বিশ্ব অর্থনীতিকে আরো শক্তিশালী করে তুলবে এবং চীনের প্রতিবেশী দেশসহ সকল দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
আন্তর্জাতিক অনেক অনিশ্চয়তা এবং নানা ধরনের চাপ থাকার পরও অর্থনৈতিকভাবে এখনও চীন অনেক দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। গত বছর চীনের প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫.২ শতাংশ। যা স্পষ্ট করে যে, নানা বাধা অতিক্রম করেও প্রবৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে চীন। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলে কর্মরত চীনের প্রতিনিধি স্টিফেন এলেন বার্নেট চীনের অর্থনীতির ওপর ভিত্তি করে অনুষ্ঠিত এক আলোচনাসভায় বলেছেন, ‘গত বছর যে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি হয়েছিল সেখানে এক-তৃতীয়াংশ অবদানই ছিল চীনের একার।’