বাংলা

চলতি বাণিজ্য পর্ব ৩১

CMGPublished: 2023-08-18 18:33:02
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

“চায়না-ইউরোপ রেলওয়ে এক্সপ্রেসের পশ্চিম চ্যানেলের খুব গুরুত্বপূর্ণ জায়গা এটি। এ কারণেই আমরা আমাদের দলের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার চেষ্টা করছি। বিশেষ করে কাস্টমস ও অন্যান্য বিভাগের সঙ্গে সহযোগিতা ও সমন্বয় বাড়ানো, সীমান্তে পর্যবেক্ষণ আরও জোরদার করার কাজ চলছে। পরিবহনের সক্ষমতা আরও বাড়ানোসহ নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।“

চীন থেকে ইউরোপের মধ্যে মালবাহী ট্রেনের মোট ১০৯টি লাইন আছে চীনে। বিশেষ করে এই বন্দর থেকে যাওয়া লাইনগুলো চীনের মোট ২৫টি প্রদেশ, স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল মিউনিসিপ্যালিটি অতিক্রম করেছে।

ভিনদেশে চীন:

যৌথ বিনিয়োগে এসইএমপি-টিসিএল

সাজিদ রাজু, চীন আন্তর্জাতিক বেতার: দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে যৌথভাবে বিনিয়োগ করবে চীন ও ব্রাজিলের দুটি কোম্পানি। ব্রাজিলের কোম্পানি এসইএমপি এবং চীনা কোম্পানি টিসিএল এই যৌথ বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

জনসংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম দেশ ব্রাজিল। এখানকার বিশাল এক বাজার তাই দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটি। এখানেই বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে যৌথ বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে চীন ও ব্রাজিলের দুই বৃহৎ দুই কোম্পানি।

একটি চীনের ইলেক্ট্রনিক পণ্য উৎপাদনকারী জায়ান্ট কোম্পানি টিসিএল এবং অন্যটি ব্রাজিলের বৃহৎ গৃহস্থালী পণ্য উৎপাদনকারী কোম্পানি এসইএমপি।

সম্প্রতি চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর শেনঝেনে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি হয়। ব্রাজিলিয়ান ব্যবসায়ী ও এসইএমপির প্রতিষ্ঠাতা অফনসো ব্রানডাও এই চুক্তি স্বাক্ষর করতে চীন ছুটে আসেন। চীনা বিনিয়োগের ব্যাপারে তারও এতোটাই আগ্রহ যে ৯৪ বছর বয়সেও তিনি নিজের কর্মস্পৃহা দেখিয়েছেন।

অন্যদিকে চীনা কোম্পানি টিসিএল গ্রুপের পক্ষে চুক্তি সই করেন কোম্পানিটির চেয়ারম্যান লি তংশেং। তারা জানান, ব্রাজিলের বাজারে সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক সাফল্য অর্জন করাই তাদের লক্ষ্য।

এই দুটি কোম্পানির যৌথ সহযোগিতা এই প্রথম নয়। এর আগে ২০১৬ সালেও দুটি কোম্পানি ব্যবসায়ীক নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছে। বিশেষ করে ওই বছর ব্রাজিলে দুই কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে গঠন করা হয় এসইএমপি-টিসিএল। এই যৌথ কোম্পানি বর্তমানে ব্রাজিলের অন্যতম প্রধান টেলিভিশন সেট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান।

কোম্পানি প্রোফাইল:

চীনের সাংহাইতে এনার্জি স্টোরেজ প্ল্যান্ট স্থাপন করছে টেসলা

চীন আন্তর্জাতিক বেতার: যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছে , চীনের সাংহাই শহরে একটি বিশাল কারখানা তৈরি করা হবে, যা নির্মাণ করবে এনার্জি স্টোরেজ প্রোডাক্ট মেগাপ্যাক। এর মাধ্যমে তৈরি হবে শক্তিশালী ব্যাটারি, সঞ্চয় করবে শক্তি। গাড়িসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে এই শক্তি ব্যবহার করা যাবে।

গাড়ির জগতে বিশ্বজুড়ে আলোচিত প্রতিষ্ঠান টেসলা। সম্প্রতি সাংহাইতে আয়োজিত প্রকল্প স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে টেসলার পক্ষ থেকে বলা হয়, নতুন প্ল্যান্টটি স্থাপনের প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু করবে এ বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে। একইসঙ্গে ২০২৪ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে শুরু করবে উৎপাদন।

প্রাথমিকভাবে প্রতি বছর ১০ হাজার মেগাপ্যাক ইউনিট উৎপাদন করবে কারখানাটি, যা প্রায় ৪০ গিগাওয়াট আওয়ারের সমান। এই ব্যাটারি বিশ্বব্যাপী বিক্রি করা হবে বলে জানায় টেসলা।

টেসলার ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, মেগাপ্যাক হল একটি শক্তিশালী ব্যাটারি, যা শক্তি সঞ্চয় করে। এছাড়া পাওয়ার গ্রিডকে স্থিতিশীল রাখতে এবং বিভ্রাট প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

চীনের লিন-কাং বিশেষ অঞ্চলে কোম্পানির নতুন প্ল্যান্টটি নির্মাণ করা হবে বলে জানায় যুক্তরাষ্ট্রের এই কোম্পানি।

সাংহাই মিউনিসিপ্যাল গভর্নমেন্টের ডেপুটি সেক্রেটারি-জেনারেল চুয়াং মুডি বলেন, এই প্রকল্পটি নতুন শক্তি-সঞ্চায়ন করতে শিল্পের উন্নয়নের পাশাপাশি সাংহাইয়ের সবুজ এবং কম-কার্বন রূপান্তরকে এগিয়ে নেবে।

চীনে বিদেশী কোম্পানিগুলো ব্যবসা করার অনুমতি পাওয়ার পর, গেল ২০১৯ সালে সাংহাইতে প্রথমবারের মতো গাড়ি নির্মাণের উদ্যোগ নেয় টেসলা।

সাংহাইয়ের এই কারখানাটি হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে টেসলার প্রথম গিগাফ্যাক্টরি। প্ল্যান্টটি ২০২২ সালে ৭ লাখ ১০ হাজার যানবাহন সরবরাহ করে, যা ২০২১ সালের তুলনায় ৪৮ শতাংশ বেশি।

সাংহাই পর্যায়ক্রমে টেসলার প্রাথমিক পর্যায়ের যানবাহন রপ্তানি কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এশিয়া-প্যাসিফিক, ইউরোপ এবং অন্যান্য অঞ্চলে টেসলার বৈদ্যুতিক গাড়িগুলোর ভালো চাহিদা তৈরি হয়েছে।

প্রতিবেদন: হাবিবুর রহমান অভি

সম্পাদনা: সাজিদ রাজু

首页上一页123 3

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn