চলতি বাণিজ্যের ১২ম পর্ব
চায়না সিকিউরিটি জার্নাল জানায়, মিনারেলস কনসেনট্রেটর প্রকল্পটির বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ মিলিয়ন টন। এই প্রকল্পটি ট্যানকোর লিথিয়াম খনি এবং সিজিয়াম আকরিক সম্পদের উন্নয়নেও ব্যবহার করা হবে।
ঘোষণা অনুযায়ী ট্যানকোর ১০০টি ইকুইটি ইন্টারেস্টের মালিক সিনোমিন রিসোর্স। এসব অংশীদারিত্ব মূলত খনি শিল্প, স্পোডুমিন ও সিজিয়াম গার্নেটের খনন, সিজিয়াম ফর্মেট ও সিজিয়াম রাসায়নিক উৎপাদন এবং বিপণনের সাথে জড়িত।
কোম্পানীর ঘোষণা অনুযায়ী নতুন কনসেনট্রেটর প্রকল্পটি স্থানীয় লিথিয়াম সম্পদে টানকোর প্রভাবশালী অবস্থানকে আরো শক্তিশালী করবে এবং উত্তর আমেরিকায় কোম্পানিটির একটি সরবরাহ চেইন তৈরি করতে সহায়তা করবে।
এছাড়াও নতুন কনসেনট্রেটর প্রকল্পটি ট্যানকোর উৎপাদন এবং অপারেশন দক্ষতা উন্নত করবে। কমিশনিং কনসেনট্রেটর প্রকল্পটি কোম্পানির লিথিয়াম লবণ এবং সিজিয়াম লবণ ব্যবসার জন্য কাঁচামাল উৎপাদনের ধাপ প্রসারিত করবে।
সিনোমাইন রিসোর্স হল একটি চীন ভিত্তিক কোম্পানী যা কঠিন খনিজ অনুসন্ধান প্রযুক্তিগত পরিষেবা প্রদানে নিযুক্ত।
প্রতিবেদন: রফিক বিপুল; সম্পাদনা: সাজিদ রাজু; কণ্ঠ: শান্তা মারিয়া
কোম্পানি প্রোফাইল:
চীনে বিনিয়োগ বাড়িয়েই চলেছে সুইডেনের ইলেক্ট্রোলাক্স
সাজিদ রাজু, চীন আন্তর্জাতিক বেতার: একদিকে বিশাল জনগোষ্ঠী অর্থাৎ ভোক্তা, অন্যদিকে বাজার ব্যবস্থাপনা ও বিনিয়োগ সুবিধা। এই তিনে মিলে চীনকে ব্যবসা সম্প্রসারণের সেরা জায়গা হিসেবে বেছে নিয়েছে সুইডেন ভিত্তিক ইলেক্ট্রিক পণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ইলেক্ট্রোলাক্স।
বৈশ্বিক ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনাকারী এই প্রতিষ্ঠানটি ক্রমেই বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে চীনে। ইলেক্ট্রোলাক্স চায়না’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক র্যামন সারিয়েগো-ভিল্লার জানান, চীন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। কিন্তু এখানে মধ্যম আয়ের ক্রেতার সংক্যা বিপুল সংখ্যক। এই গ্রাহকরা স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাসের নিয়ামক হিসেবে বিশেষ করে ভালো মানের গৃহস্থালী পণ্য কিনতে ও ব্যবহার করতে পছন্দ করে।
চীনের বাজার সম্পর্কে তার মূল্যায়ন, ইলেক্ট্রোলাক্সের মতো বৈশ্বিক কোম্পানির জন্য চীনা বাজার বেশ উপযুক্ত এবং এখানে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পেরে তারা বেশ আত্মবিশ্বাসী।
গেল কয়েক বছরের ব্যবসায়ীক কার্যক্রম পরিচালনার অংশ হিসেবে এখানেই উৎপাদন কারখানা তৈরি করেছে ইলেক্ট্রোলাক্স্ বর্তমানে ক্রমেই বাড়ছে কারখার কার্যক্রমের পরিসর। বিশেষ করে বাণিজ্যিক শহর সাংহাইতে গড়ে তোলা হয়েছে গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগ। এটি সারা বিশ্বের শীর্ষ ৫টি মার্কেট রিসার্চ ও উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থাগুলোর মধ্যে অন্যতম। এদের কাজই হলো চীনা গ্রাহকদের চাহিদা ও রুচির কথা মাথায় রেখে পণ্য তৈরি করা। ফলে বাজারের নানা পরিবর্তন ও সেই পরিবর্তনের সঙ্গে খাপখাওয়ার পন্থা উদ্ভাবনেও পিছিয়ে নেই কোম্পানিটি। আবার ব্যবসায়ীক কার্যক্রম সম্প্রসারণ করতে স্থানীয় শতাধিক কোম্পানির সঙ্গে যৌথভাবে নানা কার্যক্রম পরিচালনা করছে ইলেক্ট্রোলাক্স।
এদিকে, চীনে স্থাপন করা কারখানাগুলোতে কেবল চীনা বাজারের জন্য নয় বরং সারা বিশ্বের জন্যই পণ্য তৈরি করা হয়। র্যামন সারিয়েগো-ভিল্লার জানান, হাংচৌতে স্থাপন করো কারখানায় তৈরি করা হয় পুরো এশিয়া উপসাগরের তীরবর্তী দেশগুলোর মানুষের জন্য নানা ধরনের পণ্য। অর্থাৎ চীনে উৎপাদন করা হলেও এই অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে সেসব পণ্য রফতানিও করা হয়।
এতোসব কার্যক্রম পরিচালনার কারণে চীনে কোম্পানিটির ব্যবসাও সম্প্রসারিত হয়েছে। গেল ৩ বছরের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বছরে সাড়ে ৪ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ইলেক্ট্রোলাক্সের। র্যামন সারিয়েগো-ভিল্লার জানান, ২০২০ সালে ব্যবসা সম্প্রসারণ হয়েছে ৬১ শতাংশ এবং ২০২১ সালে হয়েছে ৫৮ শতাংশ।
কোম্পানিটি বলছে, চীনের ব্যবসা বান্ধব নীতি ও পরিচ্ছন্ন ধারণা তাদের ব্যবসায়ীক কার্যক্রম সম্প্রসারণে সহায়ক হয়েছে। বিশেষ করে টেকসই উন্নয়ন ও কম কার্বন নিঃসরণ বিষয়ক নীতিগুলো শিল্প উৎপাদনের পক্ষে সহায়ক। এই নীতির সঙ্গে মিল রেখে ২০৫০ সালের মধ্যে শূন্য কার্বন নিঃসরণ লক্ষ্য অর্জন বিষয়ক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে ইলেক্ট্রোলাক্সও।