‘লাগামহীন চিনির দাম, বিপাকে মানুষ’
এ বিষয়ে রাজধানীর খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন, তিন থেকে চার দিন আগে চিনি কেজিপ্রতি ৯৫ টাকা দামে বিক্রি করেছি। সেটা এখন ১১০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। বস্তা প্রতি চিনির দাম এক হাজার ৫০ টাকা বেড়েছে।
ইস্কাটন এলাকার খুচরা চিনি বিক্রেতা মো. নিয়ামুল আলম জানান, তিনদিন আগেও ৫০ কেজির চিনির বস্তা কিনেছি ৪২৫০ টাকায়, সেটা আজ ৫৩০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। অর্থাৎ বস্তাপ্রতি ১০৫০ টাকা বেড়েছে।
হাতিরপুল এলাকার খুচরা বিক্রেতার সমুন জানায় , ১০৬ টাকা করে কিনে ১১০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। এ অস্বাভাবিক বাজারে পণ্য কিনতেও ভয় লাগে। বাজার দাম কমে গেলে লসে বিক্রি করতে হবে। তবে এর আগে কখনো চিনির দাম ১০০ টাকার বেশি ওঠেনি।
কি বলছে ক্রেতারা
দাম বাড়িয়ে নির্দিষ্ট করার পরও কেজিপ্রতি চিনির মূল্য ২০ টাকা বেড়ে যাওয়ায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। বাজারে সরকারের নিয়ন্ত্রণ না থাকায় এমনটি হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তারা।
এ ব্যাপারে বাংলামোটর এলাকার বাসিন্দা আরিফা বলেন, এক সপ্তাহ না যেতেই চিনির দাম কেজিপ্রতি ২০ টাকা বেড়ে যাওয়াটা কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছিনা। সরকার দু’সপ্তাহ আগেই ৬ টাকা বাড়িয়ে দেওয়ার পর মনে করেছিলাম চিনির দাম আর বাড়বে না। অথচ আজ কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান
তবে চিনির দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ভোক্তাদের স্বার্থের কথা চিন্তা করে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে। নেতৃত্ব দিচ্ছে ভোক্তা অধিদপ্তরের একাধিক টিম।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিপ্তরের ডিজি / মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, চিনি মিল থেকে ডিস্ট্রিবিউট হওয়ার পর থেকে একদম রিটেইল পর্যায়ে আসার মাঝখানে হয়তোবা কোন কারসাজি থাকতে পারে। এবং সেটার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। কোথাও যদি মজুদ করা হয় সেখানে আমরা অভিযান করছি।
এ এইচ এম সফিকুজ্জামান , মহাপরিচালক, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর