বাংলা

‘লাগামহীন চিনির দাম, বিপাকে মানুষ’

cmgPublished: 2022-11-04 17:23:02
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

আফরিন মিম, চীন আন্তর্জাতিক বেতার: চাল-আটাসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের মতো বাংলাদেশে অস্থির হয়ে উঠেছে চিনির বাজার। মুদিপণ্য এমনকি পাইকারি বাজারের বেশিরভাগ দোকানেও এই পণ্যটি পাওয়া যাচ্ছে না।

শুধু সংকটই নয়, বাজারে চিনি বিক্রি হচ্ছে ইচ্ছামতো দামে। কোনো দোকানে খোলা চিনি ১০৫ টাকা, কোনো দোকানে ১১০ টাকা, আবার কোনো দোকানে ১২০ টাকা দরেও বিক্রি করা হচ্ছে। যদিও খোলাবাজারে সরকার নির্ধারিত দর ৯০ টাকা কেজি। প্যাকেটজাত চিনির ক্ষেত্রে দরটি ৯৫ টাকা। যদিও দোকানে এই চিনি পাওয়া যাচ্ছে না।

রাজধানীর কাঁটাবন, নিউমার্কেট, ধানমন্ডি, কলাবাগান, মগবাজার এলাকা ঘুরে গতকাল বুধবার এ চিত্র দেখা যায়।

এদিকে অক্টোবর মাসের শুরুতে খুচরা বাজারে খোলা চিনি বিক্রি হয় ৮৪ টাকা করে। স্থানীয় পরিশোধনকারী মিলগুলোর উৎপাদন খরচ বিবেচনায় নিয়ে সরকার গত ৬ অক্টোবর কেজিতে দাম ছয় টাকা বাড়িয়ে দেয়। এতে খোলা চিনির দাম হয় ৯০ টাকা। যা বর্তমানে বাড়িয়ে বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে।

দেশে চিনির চাহিদা ও সরবরাহ

বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) হিসাবে, দেশে বছরে চিনির চাহিদা ১৮ থেকে ২০ লাখ মেট্রিক টন। এই চিনির প্রায় পুরোটা বিদেশ থেকে আমদানি করে পরিশোধন করা হয়।

দৈনিক ৬ হাজার টনের চাহিদা থাকলেও সারাদেশে সরবরাহ হচ্ছে মাত্র ২ থেকে আড়াই হাজার টন চিনি। এতে করে নিত্যপণ্যের বাজারে চিনির সংকট আরও বাড়ছে। বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত চিনি ও ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে আগে থেকেই চিনির দাম বাড়ছিল। তবে দুই সপ্তাহ আগে থেকে সরবরাহে ঘাটতি শুরু হয়।

এদিকে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, গত ২৩ থেকে ২৯ অক্টোবর অর্থাৎ ৭ দিনে সারা দেশে চিনি সরবরাহের যে হিসাব বড় বড় চারটি কোম্পানি সরকারকে দিয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে দৈনিক ৫ হাজার টন চাহিদার বিপরীতে মিল থেকে ৫ হাজার ২১৮ টন সরবরাহ করা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চিনি সরবরাহ করেছে মেঘনা গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটি ১৬ হাজার ৩৮৪ মেট্রিক টন চিনি সরবরাহ করেছে। এর পরেই রয়েছে সিটি গ্রুপ। তারা ১১ হাজার ১৯৮ মেট্রিক টন চিনি বাজারে ছেড়েছে। এছাড়া এস আলম গ্রুপ ও দেশবন্ধু গ্রুপের বাজারে চিনি সরবরাহের পরিমাণ যথাক্রমে ৫ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন ও ৩ হাজার ৩৫০ মেট্রিক টন।

যা বলছে টিসিবি এবং চিনি পরিশোধনকারী কোম্পানী

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, বাজারে এখন প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকায়। এক সপ্তাহে দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা। সব মিলিয়ে এক মাসে চিনির দাম বেড়েছে প্রায় ২৯ শতাংশ।

চিনি পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলো বলছে, সরবরাহে এই ঘাটতি তৈরি হয়েছে গ্যাসের অভাব ও লোডশেডিংয়ের কারণে। কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম ঠিকভাবে চালানো যাচ্ছে না।

কি বলছে খুচরা ব্যবসায়ীরা

123全文 3 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn