বাংলা

‘চীনে সাইবার হামলার সঙ্গে জড়িত মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা’

CMGPublished: 2022-10-06 18:30:17
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

“একেবারে ইন্টারনাল সার্ভারে ঢুকে এটি ডেটাগুলোকে চুরি করে নিয়ে যায়। ম্যান-ইন-দ্য-মিডল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এটি নর্থওয়েস্টার্ন পলিটেকনিক্যাল ইউনিভার্সি’র ইন্টারনাল কম্পিউটার ও সার্ভারে উইপন্স সেট করে রাখে এবং ইউনিভার্সিটির ইন্টারনাল নেটওয়ার্কে প্রবেশ করে। এর ফলে ইন্টারনাল নেটওয়ার্কের হাই ভ্যালু সার্ভিস ও হোস্ট কম্পিউটারের সবকিছুই জেনে যায় ও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়।“

তবে ইউরোপীয় ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশের সহযোগিতায় তথ্য চুরির আগেই চীনা প্রযুক্তিবিদরা এসব হামলা মোকাবিলা করতে সক্ষম হন। হামলার নানা ধরণ ব্যাখ্যা করে সাইবার নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা জানান, মূলত এনএসএ’র সঙ্গে সম্পর্কিত অফিস অব টেইলর্ড অ্যাক্সেস অপারেশন –টাও এসব হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত।

“নর্থওয়েস্টার্ন পলিটেকনিক্যাল ইউনিভার্সি’র কন্ট্রোল নেওয়ার পর এটিকে অন্যান্য আক্রমণের হাতিয়ার বানায়। এটা অনেকটা আমাদের ডেটাবেজে ফেস রিকগনিশনের মতো। যেহেতু ভাইরাসটা এটা একটা অ্যামেরিকান তাই আমাদের সিস্টেম এটাকে ঢুকতে দেয়না। কিন্তু যেহেতু সে এনপিইউ এর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তাই এনপিইউ এর মাস্ক পরে কার্যক্রম চালায়, সে কারণেই আমাদের ফেস রিকগনিশন সিস্টেম এটাকে একজন সাধারণ ব্যবহারকারী হিসেবে চিহ্নিত করে এবং ডেটাবেজে প্রবেশাধিকার দেয়। ধরতে পারে না।“

বিশ্লেষণে দেখানো হয়, এসব হামলার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপারেশন ও রক্ষণাবেক্ষণ সার্ভার থেকে পাসওয়ার্ড, অপারেশন রেকর্ড কিংবা সিস্টেম লগস-এর মতো তথ্য হাতিয়ে নেয় টাও। আরো দেখা যায়, অবকাঠামো উন্নয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু ব্যক্তির তথ্য এবং চীনের মূল ভূ-খণ্ডের গুরুত্বপূর্ণ কিছু ব্যক্তির তথ্যও হাতিয়ে নেয় তারা। একইসঙ্গে বহুমাত্রিক জাম্প সার্ভার ব্যবহার করে এনএসএ’র সদর দফতরেও এসব তথ্য পাঠিয়ে দিয়েছে টাও। তবে এসব হামলার সঙ্গে জড়িত ১৩ জনের ব্যাপারে জানতে পেরেছেন চীনা প্রযুক্তিবিদরা।

首页上一页123 3

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn