সাগরে কোরালরিফ ফিরিয়ে আনার ব্যতিক্রমী উদ্যোগ চীনের
চাইনিজ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সের অন্যতম প্রতিষ্ঠান সাউথ চায়না সি ইনস্টিটিউট অব ওশেনোলজি। এখানকার নিবেদিতপ্রাণ গবেষণ হুয়াং হুই। দীর্ঘ ২ দশমের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি এ পদক্ষেপের ইতিবাচক দিক তুলে ধরেন।
হুয়াং হুই, গবেষক, সাউথ চায়না সি ইনস্টিটিউট অব ওশেনোলজি
“কোরালের সংখ্যা এই নাটকীয়ভাবে কম থাকার কারণ বৈশ্বিক উষ্ণতা। আমাদের লক্ষ্য সমুদ্রের এই মরুকরণ ঠেকানো। অন্যভাবে যদি বলি, আর কোন কোরালকে আমরা হারাতে দেবনা। কোরালগুলো যেন নিজে নিজেই বংশবিস্তার করতে পারে সেই পরিবেশ আমরা তৈরি করে দেব।“
বিজ্ঞানীরা বলছেন গাছের সঙ্গে বৈশিষ্ট্য অনেক মিল থাকায় বৃক্ষরোপনের মতোই কোরালগুলোকে সমুদ্রতলদেশে স্থাপন করা হয়। পরে এদেরকে অযৌন প্রজননের মাধ্যমে বংশ বিস্তার ঘটানো হয়। তবে কাজটি সহজ নয়। সমুদ্রের তলদেশে অভিকর্ষজ ত্বরণ অনেক কম ও প্লবতা অনেক বেশি থাকায় এখানে কাজ করা খুব কঠিন।
এই সমুদ্র বিজ্ঞানী বলছেন, কোরাল রিফ গঠন করার প্রক্রিয়ার মাত্র প্রাথমিক ধাপ এই কোরাল রোপন করা। কোরাল রিফ হতে হলে সেখানে যেমন মাছ থাকতে হবে, তেমনি থাকতে হবে শেফফিস, শৈবাল, চিংড়ি ও চিংড়িজাতীয় প্রাণি এমনকি অন্যান্য সামুদ্রিক জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণিও থাকতে হবে। তবেই সমুদ্র স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে।